বোরহানউদ্দিনে ৩ সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

এনজিও থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের স্মৃতিপাড়া এলাকায় ৩ সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় এক ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতি চলছে। রবিবার রাতে বোরহানউদ্দিন পৌর সভায় এই ঘটনা ঘটে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, জেলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের স্মৃতিপাড়া এলাকায় ৩ সন্তানের জননী বিকালে স্থানীয় একটি এনজিও (পরিবার উন্নয়ন সংস্থা) থেকে ৫০ হাজার টাকার ঋণ নেয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় নিয়ে যায়। পরে এনজিওর অফিস বন্ধ থাকায় বাড়ি ফেরার পথে এক আত্মীয়র বাসায় যায়। সেখান থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বখাটে ফারুক এর ছেলে সুমন (৩০), বাচ্চু তালুকদারের ছেলে সাহেদ (২৫), বাদশা মিয়ার ছেলে মামুন (২৫) ও ইউসুফ (৫০) জোর করে মুখে চাপ দিয়ে ধরে স্থানীয় একটি বাগানের নির্জন ঘরে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বখাটেরা ওই গৃহবধূর হাত-মুখ চেপে ধরে পালা ক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় চেঁচামেচি ও ধস্তাধস্তিতে স্থানীয়রা টের পেয়ে এগিয়ে গেলে ধর্ষকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় তার কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্নের চেইন, বালা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গৃহবধূকে প্রথমে বোরহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ পরে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
ভোলা সদর হাসপাতাল মেডিক্যাল অফিসার খালেদা ইসলাম মিতু বলেন, রোববার রাতে ওই গৃহবধূ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রিপোর্ট আসলে জানা যাবে তিনি ধর্ষিত হয়েছে কিনা। এ মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না। রিপোর্ট আসলে পুলিশকে হস্তান্তর করা হবে।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল আমিন বিপিএম জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের বিষয়ে থানায় কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। পরিবার অভিযোগ করলে এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হবে। মামলা করলে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভোলায় প্রেরণ করা হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।