ভোলায় ৬শ’ ৪৮ কোটি টাকায় ৩ কূপ খননে অনুমোদন

(ফাইল ছবি)

গ্যাস উত্তোলনের জন্য ভোলা জেলায় ৬শ’ ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্ন-কী পদ্ধতিতে ৩টি কূপ খনন কাজের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এছাড়া বৈঠকে ২৯৮৮ কোটি ৪৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৩ টাকা ব্যয়ে মোট ৬টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ক্রয় প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৯টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের ২টি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের টেবিলে ১টিসহ মোট ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ১টি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। এরমধ্যে ৬টি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা বলেন, বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় বাপেক্স কর্তৃক রাশিয়া ফেডারেশনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গাজপ্রম এর কাছ থেকে ভোলা জেলায় টার্ন-কী পদ্ধতিতে ৩টি কূপ খনন কাজের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৬শ’ ৪৮ কোটি ৩৯ লাখ ১১ হাজার ৮৫০ টাকা।
জানা গেছে, ভোলা গ্যাসক্ষেত্র বাপেক্সই ১৯৯৫ সালে আবিষ্কার করে। সেখান থেকে সংস্থাটি ২০০৯ সাল থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে, যা শুধু ভোলায় ব্যবহৃত হয়। ভোলায় এখন পর্যন্ত ছয়টি কূপ খনন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পিজেএসসি গাজপ্রমকে ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৭টি কূপ খননের কাজ দিয়েছে। এ জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কূপগুলো এরিয়েলকে দিয়েই খনন করিয়েছে গাজপ্রম। রাশিয়ার গাজপ্রম অবশ্য সরাসরি কাজ এরিয়েলকে দেয় না। তারা দেয় গাজপ্রম ইপি ইন্টারন্যাশনালকে, যেটি নেদারল্যান্ডসে নিবন্ধিত। গাজপ্রম ইন্টারন্যাশনাল আবার কাজটি দেয় এরিয়েলকে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।