ভোলার ফেরিঘাটে দালালের দৌরাত্ম্য ॥ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

(ইনসেটে মিন্টু বাহিনীর প্রধান মিন্টু)

দ্বীপজেলা ভোলার বন্দর নগরী হিসেবে পরিচিতো ইলিশা ফেরিঘাট। দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় ২১টি জেলার সাথে সংযুক্ত এই ফেরিঘাট। করোনা মহামারির কারনে সব যানবাহন বন্ধ থাকলেও জরুরী পণ্যের জন্য ফেরি চলাচল করছে নিয়মিত। নিয়ম অনুযারী ফেরি কর্তৃপক্ষ গাড়ী লোড দিলেও বাধা হয়ে দাড়ায় স্থানীয় কিছু দালাল। ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় তিনটি ট্রান্সপোর্ট থাকলেও দুইটি ট্রান্সপোর্ট নামে মাত্র থেকে ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি করাই তাদের মুল কাজ।
ইলিশার বিআইডব্লিউটিসির কতিপয় দুই একজনের সাথে আতাঁত করে চাঁদাবাজদের গডফাদার ইলিশা ট্রান্সপোর্ট এর মালিক মিন্টুর নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি দল গাড়ীর ড্রাইভারদের সাথে কন্ট্রাক্ট করে আগের গাড়ী পরে, পরের গাড়ী আগে উঠিয়ে দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ড্রাইভাররা।
সরজমিন ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে ড্রাইভারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একেক সময় একেক রাজনীতিক নেতা এবং প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চলে মিন্টু বাহিনীর চাঁদাবাজি।
কাঁচা মালের গাড়ীগুলোই হলো মিন্টু বাহিনীর টার্গেট, বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার গাড়ীতে মিন্টু বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে ৩/৪ হাজার টাকা কন্ট্রাক্ট করে ফেরিতে উঠিয়ে দিচ্ছেন, তাদের সাথে আতাঁত রয়েছে বিআইডব্লিউটিসির অসাধু কিছু কর্মকতাদের।
আবুল হাসেম নামের এক ড্রাইভার বলেন, আমার গাড়ী নিয়ম অনুযারী আগে উঠার কথা কিন্তু মিন্টু ভাই আর হানিফ ভাই কে কিছু টাকা না দিলে উঠতে পারবো না। কামাল হোসেন নামের একজন বলেন, ফেরির লোকে মিন্টু ভাইয়ের উপরে কিছুই বলে না।
নাম প্রকাশ না করে সত্ত্বে ইলিশা ঘাটের এক ব্যবসায়ী বলেন, এই মিন্টু বাহিনীর বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখালেখি করেও লাভ নাই, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে না। পাশাপাশি দুইটি পুলিশ ফাঁড়ি থাকার সত্ত্বেও তারা কি ভাবে এই চাঁদাবাজি করার সাহস পায় ?
এ বিষয়ে ইলিশা ট্রান্সপোর্ট এর মালিক মিন্টুর সাথে যোগাযোগ করলে মিন্টু জানান, প্রতিদিনই আমার দুই একটি গাড়ী ফেরিতে উঠে, আর ঝামেলা, অভিযোগ থাকবেই, যেহেতু ঘাটে থাকি আমি।
ইলিশার বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক পারভেজ খাঁন বলেন, মিন্টু নামের একজন লোক আসে ট্রান্সপোর্ট সে নাকি একটু ঝামেলা করে তবে আমার কোন স্টাফ এর সাথে জড়িত না এবং আমি ইলিশার নৌ-পুলিশের ওসি কে বলেছি ঘাটে যেই বিশৃঙ্খলা করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
ভোলার নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সুজন পাল বলেন, ইলিশা ফেরিঘাটে স্থানীয় কিছু দালালদের সিন্ডিকেট চলে এমন খবর শুনে গত পরশুদিন আমি ফোর্স পাঠিয়েছি তবে আমার ফোর্স যাওয়ার কথা দালালরা কি ভাবে যেন খবর পেয়ে তারা পালিয়ে গেছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।