ডাক্তার ও নার্স সংকটের পরও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বদলি, অতঃপর রুখতে স্থানীয়দের মানববন্ধন

ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ একজন চিকিৎসক কর্মরত। এমনতি হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স সংকট রয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রেজয়ানুল আলমকে বদলি করা হয়। ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলির আদেশ বাতিল করতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। বদলির আদেশ বাতিল না হলে আরও বড় ধরনে কর্মসূচী গ্রহন করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই হাসপাতালটি উপকূলের দেড় লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার শেষ ভরসা। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় হাসপাতালের সামনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলির আদেশ বাতিলে ঘন্টাব্যাপি মানবন্ধন করে স্থানীয়রা। এই সময় হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহন করতে দেখা গেছে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহন করা শতাধিক স্থানীয়রা জানান, করোনার মধ্যে দিন-রাত টিএস স্যার আমাদের সেবা দিছে। এর মধ্যে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেওয়ার সময় তিনি নিজ খরচে ট্রলার ভাড়া করে স্যালাইন আনছে। ওনার বদলি বাতিল করতে আমরা মানববন্ধন করছি। আর বদলি বাতিল না হলে বড় ধরনের কর্মসূচী দিবো।
আরো জানা যায়, এই বছরের ৭ জানুয়ারী মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহন করেন ডাঃ রেজয়ানুল আলম। মাত্র ৪ মাসের মাথায় গত ২৭ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে ভোলার দৌলতখান উপজেলার খায়েরহাটে ৩০ শয্যা হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে বদলি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসকের স্থলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ একজন মাত্র চিকিৎসক কর্মরত। যেখানে ২৬ জন নার্স থাকার কথা কিন্তু রয়েছে মাত্র ৬ জন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলির আদেশ রুখতে জেলা সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যকর্মকর্তার বদলির আদেশে বাতিলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন বদলি আদেশ বাতিলের।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।