চরফ্যাশন উপজেলার ৪টি সাব-রেজিষ্ট্র অফিসারের পদ মধ্যে ৪টি পদেই শূণ্য রয়েছে। ফলে সরকার দৈনিক কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। সূত্রে জানা যায়, সাব-রেজিষ্টার শামসুল আলম মুক্তিযোদ্ধার কোটায় আদালতের মাধ্যমে ২ বছরের জন্যে রায় পেয়ে যোগদান করেন চরফ্যাশনে। তিনি সাপ্তাহিক রুটিন করে রবিবার মনপুরায়, সোমবার দুলারহাট (সাবক্যাম্প) মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল থেকে চরফ্যাশন দুপুর পর্যন্ত বিকালে শশীভূশন, বৃহম্পতিবার দক্ষিণ আইচা সাবরেজিষ্টার অফিসে দলিল রেজিষ্ট্রেশনের কাজ সম্পাদন করতেন। আগামী ২৩ এপ্রিল তার (অবঃ) এর তারিখ। ১৪ এপ্রিল লকডাউন দেয়ায় ওই দিনই বিদায় নিয়ে তিনি তার বাড়ী কুড়িগ্রাম চলে যান। এই ৪টিসহ মনপুরা উপজেলা নিয়ে মোট ৫টি অফিসের সাব-রেজিষ্টার অফিসার পদ শূণ্য রয়েছে। এই শূণ্য পদের ফলে সরকার দৈনিক কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
চরফ্যাশন দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুদল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, চরফ্যাশনে ৪টি সাব-রেজিষ্ট্রারী অফিসে ৪ জন রেজিষ্টার প্রয়োজন। তাড়-হুড়া করে দলিল সম্পাদন করলে ভূলত্রুটির আশংকা থাকে। আমরা দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে প্রত্যেক অফিসের জন্যে আলাদা সাব-রেজিষ্টারের দাবী করছি।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, এই বিষয়টা আইন মন্ত্রনালয়ের ব্যপার। আমারা বড়জোর পদ শূণ্যের ব্যপারে লিখতে পারি।