পঞ্চম দিনেও থামছেনা মানুষের ক্ষোভ ॥ দাবী একটাই ইউএনও’র অপসারন

* এটা একটা চক্রান্ত হতে পারে : এলাকাবাসী।
* পরিস্থিতি ভয়াবহ : চেয়ারম্যান নবু।
* ওনার সাথে কারো সম্পর্ক নেই : উপজেলা চেয়ারম্যান।
* একটু অপেক্ষা করুন : বিভাগী কমিশনার।

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার নির্বাহী অফিসার কাওসার হোসেনের অপসারন দাবীতে গত ৫ দিন ধরে দৌলতখানে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপিসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে চলছেন উপজেলার মেম্বার সংগঠন ও স্থানীয়রা। গত শুক্রবার উপজেলার প্রতিটি মসজিদে বিষয়টি নিয়ে মুসল্লীদের মাঝেও ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এদিকে এ ঘটনা শেষ হতে না হতেই চরখলিফা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আলীকেও লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে। মেম্বার মোঃ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাস্তার কাজে সরকারী জায়গার মাটি ব্যবহার করছেন। অপরদিকে বাংলাবাজার সরকারী জায়গা থেকে দোকান উচ্ছেদ না করার কারণে তাদেরকেও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, যাকে শারীরিক টর্চার করার কারণে দৌলতখান উত্তাল, সেই ভবানিপুরের মেম্বার আব্দুল মতিনকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পুরো পরিবেশ থমথমে বিরাজ করছে। মতিনের শরীর থেতলে যাওয়া এবং প্রচন্ড আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরীভাবে ঢাকা পাঠানো প্রয়োজন বলে মন্তব করেন নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক চিকিৎসক।
এদিকে চরখলিফা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আলী ভোলার বাণীকে বলেন, ইউএনও কায়সার স্যারের নির্দেশে আমাদের সংগঠনের সদস্য মতিন মেম্বারকে আনসার সদস্যরা শারীরিকভাবে মারধর করার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করি। ঘটনাটি আমরা নেতা ও এমপি-কে জানাই, এবং ইউএনও’র অপসারণের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেই। যার কারণে আমি ইউএনও স্যারের রোষানলে পরি। তাই তিনি সামান্য মাটি কাটার অপরাধে আমাকেও লাঞ্ছিত করেন। অন্যদিকে এ ঘটনা নিয়ে কিছু কিছু মানুষ ভিন্ন মত পোষন করেন। তারা মনে করেন, এটা একটা চক্রান্ত হতে পারে। তারা চান ঘটনা সম্পর্কে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে জনগণের সামনে তা পরিস্কার হোক।
ভবানিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবু ভোলার বাণীকে বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম, এলাকায় আজ এসেছি। হাসপাতাল গিয়ে মতিন মেম্বারকে যা দেখেছি, তা অত্যান্ত ভয়াবহ।
দৌলতখান উপজেলার চেয়ারম্যান মনজুর আলম খান ভোলার বাণীকে বলেন, ইউএনও’র সাথে উপজেলার কোন কর্মকর্তার ভাল সম্পর্ক নেই। উনি যা খুশি তাই করেন। মতিন মেম্বারকে যেভাবে মারধর করা হয়েছে তা মধ্যযুগীয় নির্যাতনকেও হার মানিয়েছে।
তবে ইউএনও কাওসার হোসেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে ভোলার বাণীকে বলেন, আমি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না। এর আগে আমি ভোলা সদরে সুনামের সহিত চাকুরী করেছি। কাজেই দেশের যেখানেই চাকুরী করবো ইনশাআল্লাহ সততার সহিত বুক উঁচু করেই চাকুরী করবো।
নির্বাহী অফিসার কাওসার হোসেন সম্পর্কে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল হাসান বাদল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ভোলার বাণীকে বলেন, একটু অপেক্ষা করুন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।