আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে হারিকেন!

হারিকেনকে এক সময় রাত্রিকালীন সঙ্গী হিসেবে অনেকেই আখ্যায়িত করত। এক সময় হারিকেন হাতে নিয়ে ডাকপিয়ন ছুটে চলতেন শহর থেকে গ্রামে গ্রামে। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবাই রাতের বেলাই হারিকেন হাতে নিয়ে বের হতেন। হারিকেনের আলো গৃহস্থালির পাশাপাশি ব্যবহার হতো বিভিন্ন যানবাহনে। কিন্তু আধুনিকার ছোয়ায় বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বাতিতে বাজার ভরপুর। যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে রাত্রিকালীন আলোর একমাত্র উৎস ঐতিহ্যবাহী হারিকেন। সরেজমিনে ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তখনকার সময়ে হারিকেন মেরামতের জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মিস্ত্রী বসতো। এছাড়া জেলার প্রতিটি বাজারে ছিল হারিকেন মেরামতের ভার্সমান দোকান।এরা বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে -ঘুরে হারিকেন মেরামতের কাজ করত। এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ীতে গিয়ে হারিকেন মেরামত করত। কিন্তু এখন আর হারিকেন ব্যবহার না করার ফলে হারিকেন মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না আগের মতোন।

দক্ষিন ইলিশার আব্দুস সামাদ বলেন, এক সময় হারিকেন ছাড়া রাতে চলাচল করা যেত না। কিন্তু এখন বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের এলইডি লাইট বের হওয়ায় এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না। ভেলুমিয়া চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামের আব্দুল রহমান বলেন, আগে রাতে পড়তে বসার আগেই হারিকেন নিয়ে টানা টানি করতে হতো। কিন্তু এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। তাছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের এলইডি বাল্ব অনেক কম দামে পাওয়া যায়। যার কারণে এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না। রাজাপুরের মেদুয়া গ্রামের ইনুস আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দুই যুগেরও অধিককাল ধরে বিভিন্ন হাটবাজারে বসে আমার বংশধর হারিকেন মেরামতের কাজ করতেন। তখনকার সময়ে গ্রামের প্রতিটি ঘরে ছিল হারিকেনের ব্যবহার।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।