আমড়া ফলের ঔষধি গুনাগুন

মোঃ মহিউদ্দিন
প্রভাষক
ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ।

আমড়া ফলে বহু পুষ্টি
ও ঔষধি গুনাগুনে ভরপুর,
আমড়ায় ভিটামিন সি, আয়ারন,
ক্যালসিয়াম, আঁশ প্রচুর।
এসব উপাদান গুলো
শরীরের জন্য খুবই দরকার।
প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণ যোগ্য
আমড়ায় আছে
১৫ মাইক্রোগ্রাম শ্বেতসার
১ দশমিক ১ গ্রাম প্রোটিন,
শূন্য দশমিক ১০ গ্রাম স্নেহ জাতীয় পদার্থ
এবং ৮০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন।
এ ছাড়াও আছে
শূন্য দশমিক ২৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন।
শূন্য দশিমক শূন্য চার মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন,
৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ৫৫
মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
এবং তিন দশমিক নয় মিলিগ্রাম লৌহ।
আমড়ার খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালোরি।
খনিজ পদার্থ বা মিনারেলসের পরিমাণ শূন্য
দশমিক ছয় গ্রাম।
হজমেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে,
তাই তেল ও চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর
আমড়া খেয়ে নিতে পারেন
হজমে সহায়তা করে থাকে।
আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকায়,
এটি খেলে স্কার্ভি রোগ এড়ানো যায়।
বিভিন্ন প্রকার ভাইরাল ইনফেকশনের
বিরুদ্ধেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে,
আমড়া অত্যন্ত উপকারী কাশি, সর্দি, জ্বরে।
শিশুর দৈহিক গঠনে ক্যালসিয়াম খুব দরকার।
আমড়ায় ক্যালসিয়ামে ভরা উপাদান,
শিশুদের এই ফল খেতে উৎসাহ দিতে পারেন।
এছাড়া এটি রক্তস্বল্পতাও দূর করে।
ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্র মতে
কিছু ভেষজ গুণ আছে আমড়ায়,
এটি পিত্ত নাশক ও কফ নাশক
সাথে রুচিও বাড়ায় ।
আমড়া খেলে মুখে রুচি ফেরে,
ক্ষুধা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
এছাড়া আমড়ায় থাকা ভিটামিন -সি
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
খাদ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং ই এটির
সঙ্গে যুক্ত হয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
হিসেবে কাজ করে,
দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।