ভোলার রাস্তায়বৃদ্ধকে পিটিয়ে জখম ॥ রসহ্য উৎঘাটনে ঘটনাস্থলে পুলিশ

ভোলার রাস্তায় বৃদ্ধকে পিটিয়ে জখম ও রক্তাক্ত করে বিলের ভিতরে ফেলে রেখে যায় একদল সন্ত্রাসী গ্রুপ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ০৪/১২/২০২০ ইং তারিখ সকাল ১২ টার সময় ভোলা মোস্তফা কামাল বাসটার্মিনাল সংলগ্ন ব্যাপারি বাজারের উপর স-মিলের পাশে বিলের ভিতর।
রবিবার সকালে ভোলা কোট থেকে মামলায় হাজিরা দিয়ে মোফাজ্জল হক (৭০) উত্তর জয়নগরে বাড়ির উদ্যেশ্য রওয়ানা হয়ে মোস্তফা কামাল বাসটার্মিটাল পাড় হয়ে ব্যাপারির বাজার পৌছলে সেখানে নোমান নামক একজন যুবক চলন্ত রিক্সাকে গতিরোধ মোফাজ্জলকে বেধর মারফিট করলে সাথে থাকা মোহাম্মদ আলি মুন্সি ও রিক্সাচালক আবুল কালাম চৌকিদার বাধা দিলে তাদেরকে বেধর মারপিট রক্তাক্ত ও জখম করে সন্ত্রাসীরা।
সন্ত্রাসীরা হলো ব্যাপারি বাজারের পাশে আলীনগর কন্টেকটার বাড়ির শাহে আলম ও তার ছেলে নোমান, নুরে আলম সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন মিলে মোফাজ্জল হককে মেরে সন্ত্রাসী নোমান গংরা সাথে মোফাজ্জলের থাকা ৫৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে তাদের স্বজনদের খবর দিলে হাসপাতালে স্বজনেরা আসলে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ হাসাপাতালে এসে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন বলেন জানান তারা।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মাকসুদ বলেন, আমির খবর পেয়ে ছুটে আসি। কে বা কারা একজন বৃদ্ধকে রিক্সা থামিয়ে এলোপাথরি মারধর করছে। আমি পুলিশ খবর দিলে সেখানে পুলিশ আসে।
স্থানীয়রা নাম না প্রকাশে অনেকে জানান, এটার সাথে সেই ওয়ার্ড। এর ইউপি সদস্য মাকসুদও জরিত আছে। কারন পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করার সময় মেম্বার সন্ত্রাসীদের বাচাতে রাস্তায় সিসি ক্যামরার ফুটেজ কাটাতে ও পুলিশকে মেনেজ করার তদবিরসহ বিভিন্ন মহলে তোরঝোর শুরু করেছেন।
এদিকে স-মিলের শ্রমিক নাছির জানান, তাদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল বলে মনে হয়। কারন বৃদ্ধকে যখন স-মিলের পাশে বিলের ভিতরে দৌড়ে এনে বাগা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে দেয় তখন সন্ত্রাসী নুরে আলমকে বলতে শুনেছি তুই আমার বোনকে হাত পা বেধে মারধর করছোস, তাই তোর শোধ নিছি। এই বলে মেরে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। নুরে আলম গংদের সাথে যোগাযোগ করতে ঘটনাস্থলে সেখানে তাদের পাওয়া যায়নি।

ঘটনটাস্থল পরিদর্শনকারি কর্মকর্তা এসআই আলি আকবর জানান, রহস্য উৎঘাটনে আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। বাদি পক্ষের কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বাদি পক্ষের লোকজন আমাদের কাছে আসে নাই। আমাদের কাছে আসলে এবং অভিযোগ দিলে ব্যস্থাগ্রহন করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।