চরফ্যাশনে হত্যা চেষ্টার নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ॥ আটক-১

চরফ্যাশনে হত্যা চেষ্টার নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকালে মামলার আসামীর পিতা মানিক হাওলাদার সংবাদকর্মীদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মাঝি বাড়িতে মৃত আলমগীর মাঝির ছেলে আবদুল বাছেতকে দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা চেষ্টার নাটক সাজিয়ে একই গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবের আহমদের ছেলে মো. খোকন ও বেলু হাওলাদার বাড়ির মানিক হাওলাদারের ছেলে মো. ছোটনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যপারে মানিক হাওলাদার তার অভিযোগে বলেন, আমার ছেলে নির্মাণ শ্রমীকের কাজ করে। আমার ছেলেকে প্রতিপক্ষ বাছেতের বড়ভাই ও তার মামা ষড়যন্ত্র করে ফাঁসাতে চাইছে। ছোটনের মামা শেখ ফারুক বলেন, প্রায় ২০দিন পূর্বে আমার ভাগ্নী মিতুর বিয়ে চুরান্ত হয়। কিন্তু বাছেতের মামা আবদুস শহীদ বর পক্ষের কাছে মিতুকে নিয়ে বদনাম করে ওই বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। এলাকায় বিষয়টি প্রমাণ হলে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শালিস ফয়সালা করে আব্দুস শহীদের জরিমানা করে। এবং আবদুস শহীদ ওই জরিমানা দেয়ায় প্রতিশোধ নিতেই তার ভাগ্নে বাছেতকে দিয়ে অপহরণ ও হত্যার নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
এদিকে খোকনের পরিবার জানান, খোকন দির্ঘদিন নেয়াখালীতে কবিরাজি চিকিৎসা করতেন। কিছুদিন পূর্বে নিজ এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসা শুরু করে। কিন্তু বাছেতও একই গ্রামে দীর্ঘদিন কবিরাজি চিকিৎসা করছে। বাছেত ও তার পরিবার চাচ্ছেনা খোকন কবিরাজি চিকিৎসা করুক। আর তাই এক ঢিলে দুই পাখি মারার জন্য বাছেত ও তার ভাইয়েরা সহতাদের মামা আবদুস শহীদ মিলে অপহরণ ও মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদেরকে হয়রানী করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এদিকে বাছেতের ভাই মিজান জানান, অপহরণের সময় বাছেতের বাড়ির কাছে ছোটনকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে ছোটনের পরিবার দাবী করেন বাছেত ও ছোটন একসাথে চলাফেরা করতো।
বাছেত হত্যা চেষ্টা নাটক সাজিয়ে ওই ঘটনার সময় ছোটনের ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে মাঝি বাড়িতে ডেকে নেয়। কিন্তু ছোটন ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলেও ছোটনের পরিবার দাবী করেন। জাহানপুর ৯নং ওয়ার্ডের মৃত আলমগীর মাঝির ছেলে বাছেত (২০) কে গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যার পরে তার নিজ ঘরের পিছনের পুকুরের ঘাটলা থেকে অজু করার সময় প্রায় ৪ জনের একটি চক্র মুখোশ পড়ে বাড়ি সংলগ্ন ধানি বিলে নিয়ে মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠলে শশীভূষণ থানায় পরদিন একটি অভিযোগ দায়ের হয়। পরে অভিযোগটি আমলিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলা নেয় থানা পুলিশ। এ ঘটনায়জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ খোকন নামের এক যুবককে আটক করেছে। তবে বাছেত ছোটনের বিরুদ্ধে সন্দেহাতিতভাবে অভিযোগ করলেও সংবাদকর্মীদের কাছে ঘটনার সাথে জড়িত সবাই মুখোশ পড়ে থাকায় কাউকে চিনেন না বলে ভিডিও বক্তব্যে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ নভেম্বর হত্যা চেষ্টার অভিযোগে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে একজনকে পুলিশ আটক করেছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।