ফলোআপ

৪ দিনেও শেখ ফরিদের খোঁজ মিলেনি।। নবজাতক শিশু নিয়ে স্ত্রী’র আকুতি

ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন এলাকা মেঘনার বুকে ভোলার চর। ওই চর দখলে নিতে দীর্ঘ বছর ধরে তৃমূর্খী বাহিনীর দখল সন্ত্রাস চলে আসছে আর এই তৃমুখী বাহিনীর হামলা মামলার স্বীকার হচ্ছেন ওই চরে বসবাসকারী খেতে খাওয়া ভূমিহীনরা।
সারা দিন ঘাম জড়িয়ে রাতে বিশ্রাম নিতে গেলেই হঠাৎ হামলা করে বসে দস্যুরা।
কৃষকের ধান পাকা মৌসুমেই মাথা নাড়া দিয়ে উঠেন রাছেল খাঁ গ্রুপ, আলতু ওয়াব গ্রুপ ও লক্ষ্মীপুরের হারিস সরদার গ্রুপ।
যদিও আলতু ওয়াব এবং হারিস সরদার এখন একই গ্রুপের দোসর।
তাদের দীর্ঘ বছরে আধিপত্য ও মামলা হামলার তদন্তের জন্য গত ৪ দিন আগে ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যান।
পুলিশ তদন্ত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সাথে সাথেই রাছেল খাঁ গ্রুপ ও হারিস, ওয়াব ও আলতু গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে।
ওই সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ৯ জন আহত হয়েছেন এবং শেখ ফরিদ (৩২) নামের একজন নিখোঁজ হয়।
পুলিশ নিখোঁজ শেখ ফরিদ কে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও এখনো উদ্ধার করতে পারেনি।
এদিকে শেখ ফরিদের নবজাতক শিশুসহ ৩ সন্তান নিয়ে স্ত্রী মারজান বেগম স্বামীর খোঁজে একাদিকবার চরের কর্তাবাবুদের কাছে গেলেও লাভ হয়নি, শুধু আশ্বাস, স্বামী কে ফিরে পেতে আকুতি জানান মারজান বেগম।
নিখোঁজ শেখ ফরিদের স্ত্রী জানান, আমার চাচা শ্বশুড় আলতু মাতাব্বর আমার স্বামী কে চরে যেতে বলেছে, সেখান থেকে আমার স্বামী নিখোঁজ, আপনারা আমার স্বামী কে খোঁজে দিন, কি হবে আমার এই সন্তানদের? আমার স্বামী তো চর খাই না, তিনি ঢাকা থাকেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।
শেখ ফরিদের শ্যালক মামুন বলেন,আমরা ওয়াব আলী মেম্বারের কাছে গেছি তিনি বারবার বলছেন লাশ আমি খোঁজে দিবো। আবার আজ আমার বোন কে বাদী না বানিয়ে আমার ভগ্নীপতির ভাই কে নাকি বাদী করে মামলা করেছে শুনেছি।
তাহলে কি হচ্ছে ভোলার চরে? চাচা আলতু মাতাব্বরের ডাকে সারা দেওয়াই কাল হলো শেখ ফরিদের? নাকি রাছেল খাঁ গ্রুপের হাতে নিখোঁজ হলো? চরের সংঘর্ষে আহত হওয়া এক ব্যক্তি জানান, শেখ ফরিদ গোলাগুলির মধ্যে ছিলো কিন্তু পরে আর তার কোন সন্ধান পাইনি।
এদিকে নিখোঁজ শেখ ফরিদের নবজাতক শিশু সন্তানসহ স্ত্রী’র খোঁজ কেও নেয়নি এই ৪ দিনে কিন্তু মামলা করলো ভাই, শেখ ফরিদ যদি সত্যিই নিহত হয় তাহলে এই সন্তানদের ভবিষ্যৎ কি? তিন সন্তান কে এতিম করে পুঁজি করবে চরের দস্যুরা? ৪ দিনেও কেউ খবর নিতে পারেনি নিখোঁজ সন্তানদের? ভবিষ্যতে কে নিবে? সন্তানদের কান্না অন্যদিকে স্বামীর শোকে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মারজান।
এই বিষয়ে আলতু মাতাব্বর এর ০১৭১১….১৯৬ এই নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।
ওয়াব আলী মেম্বার জানান, আমরা তো আর কাউকে নেইনি চরে তার পরে
ও শেখ ফরিদের স্ত্রীকে বাদী করতে বলেছি কিন্তু শেখ ফরিদের ভাইরা পরামর্শ করেই তার বড় ভাই কে বাদী করেছে, এখানে আমাদের কোন হাত নেই।
রাছেল গ্রুপ প্রধান রাছেল খাঁ বলেন, শেখ ফরিদ কে আমরা কেউ চিনিনা আল্লাহ্ কসম, আমার মা বোন ভগ্নীপতি আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, রাছেল খাঁ আরো বলেন,ভোলার সদর থানার ওসি সাহেব সেদিন কোন ভূমিকা না নেওয়ার কারনেই আমার পরিবারের উপর হামলা এবং লুটপাট করেছে আলতু বাহিনী।
এই বিষয়ে ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, নিখোঁজ শেখ ফরিদ কে উদ্ধারের জন্য এখনো আমাদের পুলিশ ভোলার চরে রয়েছে এবং শেখ ফরিদের ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে থানায়, যাহার নং ৫৫।
ওসি এনায়েত হোসেন আরো বলেন, আমাদের পক্ষে সবাই সমান, সবাই কে আমরা আইনি সহায়তা দিবো, রাছেল খাঁ কে আমরা মামলা করতে বলেছি কিন্তু তিনি মামলা করছে না।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।