সরিষা শাকের ঔষধি গুনাগুন

মোঃ মহিউদ্দিন,
ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ।

আপনি কি খাবারের মাঝে
পুষ্টিগুণ খুঁজে বেড়াচ্ছেন ?
শুধু একটুখানি সরীষা শাকেই
কাঙ্ক্ষিত পুষ্টি খুঁজে পাবেন।

শুধু শাক হিসেবেই নয়
কুচিকুচি করে সালাদে মিশিয়ে দিলে,
দারুন স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।

সরিষা শাক আছে
আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম,
প্রোটিন,সেলেনিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম।
উপরোক্ত উপাদান গুলো
প্রচুর পরিমাণে থাকায়,
গর্ভবতী মায়েদের সুস্থ শিশু সন্তান
জন্মদানের সম্ভাবনা বাড়ায়।

ত্বক, চুল ও ওজন ভালো রাখে
সরিষা শাকের কম ক্যালোরি থাকায়,
শারীরিক ওজন কমে যায়।

দূর করে দুর্বলতা,
রক্তশূন্যতা,ত্বকের শুষ্কতা।

এ শাকের সবচেয়ে বড় গুন হলো
সরিষা শাক ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে,
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো
বের করে দিতে দারুন ভূমিকা রাখে।

যদিও এই শাক খুবই সস্তায় পাওয়া যায়,
পুষ্টিগুণে সরিষা শাক মোটেও সস্তা নয়,
এসব তথ্য জানার পর
এ শাকের প্রতি আগ্রহ বাড়বে নিশ্চয়ই।

পাওয়া গেছে গবেষণায়,
সরিষা শাকের দুই ধরনের
গ্লুকোসিনোলেইস থাকায়,
ক্যান্সার প্রতিরোধে শক্তিশালী হয়।

কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়,
খুবই সুফল পাওয়া যায় কোষ্ঠকাঠিন্যতায়।

হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়,
ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ হওয়ায়,
নানা রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।
ভিটামিন-সি থাকায় ভাইরাস ( করোনা)
রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।

এ শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায়,
দৃষ্টি শক্তির ক্ষমতা বাড়ায়।

এ শাকে ভিটামিন কে থাকায়,
হাড়ের সুরক্ষা দেয়।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সচ্ছল হয়।

সুতরাং সরিষা শাক আর অবহেলা নয়,
মাঝে মাঝে থাকে যেন খাবারের তালিকায়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।