বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল

মোঃ মহিউদ্দিন
বাংলার দামাল,
বীরশ্রেষ্ঠ  মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৯ সালে ভোলা জেলার
দৌলতখান থানায়,
পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে তার জন্ম হয়।
বাবা হাবিলদার হাফিজ, মা – মালেকা বেগম।
বাসার সামনে কুচকাওয়াজ দেখে সেনাদের,
তারও স্বাদ জাগে সৈন্য সদস্য হবার।
অবশেষে সিদ্ধান্ত নেন,
তিনি সেনা হবেন।
ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে প্রশিক্ষণ নেন।
প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগ দেয়া হয়,
চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কুমিল্লায়।
চাকরিরত অবস্থায়,
তৈরি হন মুক্তিযুদ্ধায়।
 ১৭ এপ্রিল সকাল থেকে পাকিস্তানি বাহিনী
তীব্র গোলাবর্ষণ শুরু করে,
এ সময় মুষলধারে বৃষ্টি পড়ে।
১৮ এপ্রিল সকালে, বর্ষণ মুখর পরিবেশে।
হানাদার বাহিনী প্রায় কাছে পৌঁছে যায়।
মূল আক্রমন শুরু হয়।
শত্রুর একটি দলে,
মুক্তিবাহিনীদের ঘিরে ফেলে।
মুক্তিবাহিনী উপায়ন্তর না দেখে,
দরুইন গ্রাম থেকে
আখাউড়া রেল স্টেশনের দিকে
সদলবলে  যায় চলে।
কিন্তু নিরাপদে সেখান থেকে
সরে আসতে হলে,
 নিরবচ্ছিন্ন জায়গার প্রয়োজন ছিল।
 এখানে তিনি একাই ফায়ারিং
 করার  সিদ্ধান্ত নেন,
 সহযোদ্ধাদের পিছনে হাটতে নির্দেশ দেন।
 সহযোদ্ধারা মোস্তফা কামালকে
 পশ্চাদপসরণ অনুরোধ করেন,
 কিন্তু কর্তব্যর টানে মোস্তফা কামাল
অবিচল ছিলেন।
মোস্তফা কামালের ফায়ারিং
পাকিস্তানের ২০-২৫ জন হতাহত হন।
পাকিস্তানিরা মরিয়া হয়ে উঠে,
তুমুল যুদ্ধ ঘটে।
মোস্তফা কামালের উপর মেশিনগান,
মর্টারের গোলা বর্ষণ করতে থাকে,
মোস্তফা কামালের এল এম জির বুলেট শেষ হয়
তিনি জীবন বাজি রাখে।
তিনি মারাত্মকভাবে জখম হন
অবশেষে পাকিস্তানি সৈনিকরা তাকে বেনয়েট
দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
এক বর্ণাঢ্য জীবনের হয় অবসান।
১৮ এপ্রিল ১৯৭১ সাল,
মোহাম্মদ মোস্তফার মৃত্যু কাল।
নিজের জীবন দিয়ে সহযোদ্ধাদের জীবন বাঁচান।
দরুইন গ্রামের আপামর জনগণ,
দেখান অতি সম্মান,
আন্তরিকতায় তাকে শাহাদতের
স্থানে সমাহিত করেন।
বাংলাদেশ সরকার অসীম সাহসিকতার
কারণে তাকে সর্বোচ্চ বীরত্ব খেতাব “বীর শ্রেষ্ঠ “
সম্মান প্রদান করেন।

আরও পড়ুন

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।