সর্বশেষঃ

প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়

 মোঃ মহিউদ্দিন
প্রভাষক, ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ।
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়,আজ সেই  ১২ নভেম্বর।
ভয়াল ১২ নভেম্বর ১৯৭০ সালের
 ভয়াবহ কাল রাতে
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে,
 প্রায় দশ লক্ষ মানুষ সাথে
অসংখ্য গৃহপালিত পশু-পাখি মরে।
উপকূলীয় অঞ্চল সহ বহু ঘরবাড়ি
 নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ,
বাকি যারা বেঁচে ছিল তারা
অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন কাটায়।
সেই ভয়াল কালোরাতের বর্ণনা দিতে
 গিয়ে আজো অনেকে শিঁউরে উঠে,
আমার নিজের স্ত্রীর বড় ভাই
আমার শাশুড়ির হাত থেকে ছুটে গিয়ে
ঝড়ের- প্লাবনে অকাল মৃত্যু ঘটে।
আজও আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন
 সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে
 সকলে সমস্বরে অঝোরে কেঁদে ওঠে।
ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি
 ঘটেছিল ভোলা, রামগতি,হাতিয়া,সন্দ্বীপে,
 বিশেষ করে ভোলা,পটুয়াখালী
পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তূপে।
তজুমুদ্দিন উপজেলায়  প্রায়
নব্বই হাজার লোক মারা যায়া।
 ভোলা জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরায়,
প্রায়  বিশ হাজার মানুষ
ঝড়ে সেই ভয়াল রাতে প্রাণ হারায়।
 সাগর,নদী,খাল,বিল,ঝিলে
 ভেসে  ছিল অসংখ্য লাশ,
বাংলার ইতিহাস এই ঘূর্ণিঝড়
সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক সর্বনাশ।
 প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় অর্ধশত বছর পরে
আজ ১২ নভেম্বর উপকূল দিবস
 শুধু বাংলাদেশেই নয়,
গোটা বিশ্বে “ওয়ার্ল্ড কোস্টাল ডে” পালিত হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।