সরকারি বরাদ্ধ দ্রুত দেওয়ার দাবী জেলেদের

মনপুরায় জেলে শূন্য মেঘনা, মৎস্য আড়তে সুনশান নিরবতা

ইলিশ প্রজনন রক্ষায় মেঘনায় সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ। তাই মনপুরার মেঘনা নদী এখন জেলেশূন্য। মেঘনার প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকা বর্তমানে কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের নজরদারিতে। ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দিনে মনপুরা উপকূলের অর্ধশত মৎস্যঘাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড় দেখা গেলেও বুধবার সকাল থেকে মৎস্যঘাটে সুনশান নিরবতাসহ মৎস্য আড়ত একেবারে ফাঁকা দেখা গেছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে জেলেদেরে নিয়ে মা ইলিশ রক্ষায় জেলে ও মৎস্য আড়তদারদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


মনপুরা উপকূলের বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ প্রজনন ও মা ইলিশ রক্ষায় সরকারী নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ শিকারের যায়নি উপজেলার ২০ হাজারের উপরে জেলে। জেলেরা নদীর পাড়ে নৌকার জাল তুনার কাজ সারছেন। আবার কোন কোন জেলে নৌকা ধোয়া-মূছার কাজ সারছেন। তবে সামনের ২২ দিন কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করবেন সেই নিয়ে দূর্চিন্তায় রয়েছেন জেলেরা। এছাড়াও মৎস্য আড়তদাররা মঙ্গলবার বিকেল থেকে গদি ঘর ধোয়া-মূছার কাজ সেরে ফেলেছেন। মৎস্যঘাট ও আড়তে সুনশান নিরবাতা ও লোকশূন্য অবস্থায় রয়েছে।


উপকূলের বিভিন্ন ঘাটের জেলে সামছু, কামাল, আইয়ুব, রফিক সহ একাধিক জেলে জানান, অভিযান দিছে তাই আমরা নৌকা উঠাইয়া লাইছি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে মাছ ধরতে যাইনি। এখন আমরা পরিবার নিয়া কি খামু যানি না। সরকারি বরাদ্ধের চাল যেন আমাগোরে দ্রুত দিয়া দেয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্ত আবদুল গাফফার জানান, জেলেদের জন্য ২০ কেজি করে ১০ হাজার ২ শত জেলেদের চাউল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রত্যেক জেলেকে ২০ কেজি চাউল বিতরন করা হবে। মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।