চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছে পরিবারটি, আদালতে মামলার প্রস্তুতি

মনপুরায় নিহত আলাউদ্দিনের কিশোরী মেয়েকে মারধর

ভোলার মনপুরায় আলোচিত ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যবসায়ী নিহত আলাউদ্দিনের কিশোরী মেয়েকে বাড়ির উঠানে মারধর করে প্রতিবেশী শামীম মাষ্টার ও তার স্ত্রী। ভোলার এক টেলিভিশন সাংবাদিককে মনপুরার বাড়িতে বাবা হত্যার বিচারের দাবীতে বক্তব্য দেওয়াকে নিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ করছেন নিহত আলাউদ্দিনের স্ত্রী রিতু বেগম। গত ২ অক্টোবর শুক্রবার নিজ বাড়ির উঠানো মারধরে আহত কিশোরী সুমাইয়া (১৫) কে প্রথমে মনপুরা হাসপাতালে ১ দিন ও শেষে ভোলা সদর হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে সন্তানের চিকিৎসা শেষে বিভিন্ন জনের হুমকিতে বাড়ি ফিরতে ভয় পাচ্ছে বলে জানান নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী রিতু বেগম। এছাড়াও মারধরের ঘটনার দিন পুলিশের লোকজন বাড়ি গিয়ে শামীম মাষ্টারের সাথে মিমাংশার জন্য চাপ দেয় বলে অভিযোগ নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী রিতু বেগমের। এদিকে বিচারের দাবীতে আগামী সোমবার ভোলায় নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১ অক্টোবর সময় টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধিকে নিহত ব্যাংক এজেন্ট ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য দেন স্ত্রী রিতুবেগম ও কন্যা সন্তানরা। এই সময় ওরা প্রতিবেশী শামীম মাষ্টার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। পরদিন শুক্রবার বিষয়টি জেনে শামীম মাষ্টার ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির উঠানে গিয়ে নিহত আলাউদ্দিনের কিশোরী মেয়ে সুমাইয়াকে মারধর করে। এতে কিশোরী সুমাইয়া আহত হলে প্রথমে মনপুরা সদর হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ভোলা সদর হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হন। সুষ্ঠ বিচার ও নিজেদের রক্ষা করতে ভোলায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরিবারটি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শামীম মাষ্টার জানান, ঘটনার দিন আমি আমার ছেলেকে নিয়ে ফকিরহাট বাজারে সেলুনে চুল কাটাছিলাম। আমার বিরুদ্ধে কেন যে পরিবারটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগ করছে বুঝতে পারছিনা।

এ ব্যাপারে নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী রিতু বেগম জানান, স্বামী হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে গিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকীর মধ্যে পড়েছি। এমনকি সন্তানরা তার বাবা হত্যার বিচার চাইতে টেলিভিশন সাংবাদিককে বক্তব্য দেওয়ায় মারধর করে প্রতিবেশি শামীম মাষ্টার ও তার স্ত্রী। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ঘটনাশুনে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। তবে পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।