ভোলায় কলেজ ছাত্রের উপর বন্ধুদের হামলা।। নগদ অর্থ ও মোবাইল ছিনতাই

ভোলায় কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর উপর তার বন্ধুরা হামলা করে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ করেছেন হামলার শিকার কলেজ ছাত্রের বাবা।

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় শহরের বাংলা স্কুলের ভিতরে মোঃ ইরা (২০) নামক এক শিক্ষার্থীর উপর তার কতিপয় বন্ধু এ হামলা চালায়। ইরা আলতাজের রহমান কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ইরার বাবা শহরের হক মার্কেটের ব্যবসায়ী মোঃ ইউসুফ অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার মার্কেট বন্ধ থাকায় আমি আমার ছেলেকে পাওনাদারদের কাছে তাগাদায় যেতে বলি এবং আমার ছেলে পাওনাদারদের কাছ থেকে আমার ব্যবসায়িক কালেকশনের টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তার বন্ধু ইরফান জরুরি কিছু কথা বলবে বলে আমার ছেলেকে মোটর সাইকেলযোগে বাংলা স্কুলের ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে পূর্ব কল্পিত ভাবে অবস্থানকারী ইরফানের বন্ধু মোঃ কাওসার, মোঃ রায়েব, স্বচ্ছ, মোঃ তালহা, মোঃ রোজা সহ আরও কয়েকজন আমার ছেলে ইরার কাছে থাকা আমার ব্যবসায়ীক কালেকশনের টাকা দিতে বলে। আমার ছেলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে এবং আমার ছেলেকে রক্তাক্ত ও জখম করে।

এসময় মোঃ ইরফান আমার ছেলের কাছ থেকে আমার ব্যবসায়িক কালেকশনের ২৫০০০ টাকা ও মোঃ কাওসার আমার ছেলের ব্যবহৃত ৩৫০০০ টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন জোর করে ছিনিয়ে নেয়। এরপর আমার ছেলের ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা আমার ছেলেকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এরপর আমি এঘনার খবর শুনে সেখানে ছুটে যাই এবং স্থানীয় লোকদের সহায়তা নিয়ে আমার ছেলেকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। বর্তমানে আমার ছেলে ভোলা সদর হাসপাতালে পুরুষ সার্জারী ওয়ার্ডে অতিরিক্ত ৯ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত মোঃ ইরফান এর মুঠোফোনে কল করলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর তিনি ফোনের লাইনটি কেটে দেন এবং পরবর্তীতে বারবার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

কলেজ ছাত্র ইরার উপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন এঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।