ভোলায় জন্ম যার, শতমুখী গর্ব তার। কবি ফরিদ উদ্দিন তালুকদারের এই সুবচনটি পলিমাটির জনপদ ভোলাতে জন্মগ্রহণকারী অনেক গুণী সন্তানের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল অর্থবহন করেছে। আমাদের স্থানীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা তাদের স্ব স্ব কর্মের দীপ্তি ছড়িয়ে যেমন নিজেরা বিকশিত হয়েছেন তেমনি স্বদেশকে আলোকিত করছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে অস্ট্রিয়া প্রবাসী ভোলার সন্তান মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান এমন একজন মানুষ; দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসাই যেন তার প্রধান কাজ।

পৃথিবীর সর্বাধুনিক রাষ্ট্র অস্ট্রিয়ার সেরা বিশুদ্ধ নগরী ভিয়েনায় বসবাসরত মিডিয়াব্যক্তিত্ব এই রসায়নবিদ তার নিজস্ব পরিবার ও পরিমন্ডলের সবাইকে নিয়ে বিশ্বতোরণে বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ভূগোলে কীভাবে বাংলাদেশের লালসবুজের সম্মান বৃদ্ধি করা যায়- তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নিরন্তর। আর এই কাজের অন্যতম সোপান হচ্ছে মাহবুবুর রহমান সম্পাদিত আন্তর্জাতিক অনলাইন বাংলা দৈনিক ইউরো সমাচার। অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনায় অস্ট্রিয়ান গভর্নমেন্ট অনুমোদিত অনলাইন পত্রিকাটি অভিনব অগ্রযাত্রায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। বিশ্বসাঙবাদিকতার অন্যতম সুহৃদ মাহবুবুর রহমানকে তার জীবন ও কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ভোলার প্রগতিশীল গণমাধ্যমকর্মীদের সঙগঠন ‘লালমোহন মিডিয়া ক্লাব সম্মাননা পুরস্কার’ প্রদান করবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০। লালমোহনে অনুষ্ঠিতব্য এই মহতী আয়োজনে করোনাকালীন জটিলতায় সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলেও বরেণ্য সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করবে তাঁর কনিষ্ঠ কন্যা রোখসানা রহমান শিউলী।

অত্যন্ত সুশিক্ষিত তিন কন্যা লাভলী, ডেইজি, শিউলির পিতা, একমাত্র সুযোগ্য পুত্র কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুর রহমান নয়নের মুক্তিযোদ্ধা পিতা মাহবুবুর রহমান অস্ট্রিয়া তথা সর্ব ইউরোপীয় বাঙালি কমিউনিটিতে আপন প্রজ্ঞা প্রতিভা ও মানবিকতার কল্যাণে স্বনামখ্যাত। সহধর্মিণী দৌলতুন্নেসা রহমান তার সকল শুভ কাজের সারথী।
ইউরো সমাচার সম্পাদনার পাশাপাশি দৈনিক ভোরের সংলাপ ও সাপ্তাহিক সেরাকণ্ঠের অল ইউরোপিয়ান ব্যুরো চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাহবুবুর রহমান । উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমানের মতো গুণী মানুষের সাহচর্যে অবিরাম এগিয়ে যাচ্ছে অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব ‘আয়েবাপিসি’।

দক্ষ সংগঠক মাহবুবুর রহমান ১৯৮৪,১৯৮৫, ১৯৮৭ এবং ১৯৮৮ সালে সুনামের সাথে বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রের সম্মান এবং ১৯৮০ সালে একি বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে মাস্টার্স হোল্ডার মাহবুবুর রহমান ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত ভোলা সমিতি ঢাকার সহসম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ভোলার তজুমদ্দিনের চাপড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মাহবুবুর রহমান। যদিও স্বদেশে মানুষের সেবায় সিংহভাগ সময় কেটেছে ভোলার মধ্যমণি লালমোহনে। লালমোহনের আপামর মানুষ তাকে লালমোহনের সন্তান ভাবতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
পিতা মরহুম মৌঃ আসমত আলী এবং মাতা মরহুমা মোহসেনা বেগমের আদরের সন্তান মাহবুবুর রহমান ১৯৭৩ সালে মাধ্যমিক ও ১৯৭৫ সালে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুল ছাত্রজীবনেই তিনি সরাসরি অংশ নেন ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৭০ সালের বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বয়ে যাওয়া ভয়াবহ বন্যা এবং মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনগুলোর কথা আজো স্মৃতিতে ভাস্বর তাঁর। গরীবের ভালবাসা তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলে মনে করেন মানবসেবক মাহবুবুর রহমান।
আন্তর্জাতিক অনলাইন গণমাধ্যম ” দৈনিক ইউরো সমাচার। নান্দনিক সৌন্দর্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের কল্যাণে ইতোমধ্যে বৈশ্বিক পাঠকমহলে মাত্র একবছরেই ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে । এই যোগ্যতা ও প্রিয়তার পেছনে যথাযোগ্য এবং যুৎসই কিছু কারণও আছে। বরেণ্য সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান অস্ট্রিয়ান গভর্নমেন্ট অনুমোদিত বিশুদ্ধ বাংলা অনলাইন পত্রিকা ইউরো সমাচার এর সুযোগ্য এবং সুদক্ষ সম্পাদক। অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ প্রেসক্লাব এর নিবিড় তত্ত্বাবধানে ১০ জুলাই ২০১৯ থেকে বিশ্বব্যাপী একঝাঁক উদ্যমী মননশীল বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর সংবাদকর্মী নিয়ে তিনি এবং তাঁর পত্রিকার বিজ্ঞ পরিচালনা পরিষদ অবিরাম গতিতে এগিয়ে চলেছেন।
লালমোহনের মাটির মানুষ মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান এবং তার বিজ্ঞ সম্পাদনা পরিষদের হাত ধরে দৈনিক ইউরো সমাচার বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা ও বাংলা সংবাদের গৌরব দিনকে দিন বৃদ্ধি করে চলেছে। শান ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা, অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া সিনিয়র ক্লাবের সভাপতি, অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা বিশ্ব বরেণ্য সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান এমন একজন গুণী মানুষ; তাঁর সততা দক্ষতা মেধা ও মননের ফুলে ফসলে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ হচ্ছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা থেকে প্রকাশিত অনলাইন দৈনিক ইউরো সমাচার।
মাহবুবুর রহমানই প্রথম আধুনিক শিল্পায়নের বীজ বপন করেছেন ভোলার লালমোহনে। তিনি প্রথম লালমোহনবাসীকে উপহার দিয়েছিলেন নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর সুরম্য নিবাস ” লাভলী ম্যানসন ” ; যা আজো লালমোহনবাসীর কাছে অপার বিস্ময়। লালমোহনের শিল্প, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা, বহুমাত্রিক সমাজকর্মে ইউরো সমাচার সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের অবদান আমরা কোনো দিন ভূলবোনা । চলমান করোনাকালেও তিনি বিভিন্নভাবে প্রসারিত করেছেন মানবতার হাত। যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান হয়েই আজকে তাঁর সন্তান আইসিটি প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান নয়ন, অস্ট্রিয়ার মতো দেশে যুবরাজনীতির আলো ছড়াচ্ছেন। অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচনে নমিনেশন পাওয়ার দুর্লভ গৌরব অর্জনকারী মাহমুদুর রহমান নয়ন ফের আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ভিয়েনা সিটির নির্বাচনে ক্ষমতাসীন অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টি থেকে কাউন্সিলর পদে নমিনেশন পেয়েছেন। নয়ন ক্ষমতাসীন অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টির যুব ফ্রন্টের ভিয়েনা ডিস্ট্রিক্ট প্রেসিডেন্ট । লালমোহন ভোলা তথা বাংলাদেশের জন্য মাহবুবুর রহমান তনয়ের এই অর্জন ইউরোপিয়ান ভূগোলে বিশাল আনন্দযোগ।
মোদ্দাকথা, ইউরোপ মহাদেশের আধুনিক সভ্যতা, সমাজ সংস্কৃতি, রাজনীতি ও মানবসেবায় ভোলার কৃতিসন্তান বিশ্ববরেণ্য সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান ও তাঁর পরিবার প্রতিমুহূর্তে লালসবুজের সম্মান বৃদ্ধি করে চলছেন । দেশের মানুষের বিপদে আপদে মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান যেভাবে হাত বাড়িয়ে দেন- কেবল একজন সাগরহৃদয়ী মানুষ বলেই তা সম্ভব । চলমান করোনা কালেও নানানভাবে দ্বীপজেলার ভুক্তভোগী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন দৈনিক ইউরো সমাচার সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।