ফের সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা

প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে ভোলার চরফ্যাশনের কালিবাড়ী রোডে শুক্রবার রাত সাড়ে দশটায় পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে দৈনিক সময়ের চিত্র’র সম্পাদক ও দৈনিক জনকন্ঠের নিজস্ব সংবাদদাতা এ আর এম মামুন ও দৈনিক প্রথম সকালের চরফ্যাশন প্রতিনিধি শাহ কামালের উপর হামলা ও হত্যার চেষ্টা করেছেন সন্ত্রাসীরা।

আহত সাংবাদিক এ আর এম মামুন অভিযোগ করেন, প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে বাবুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, দক্ষিণ মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন সেন্টু সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসীরা আমাদের পথ গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন  অংশে ফুলা জখম করে এবং গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় সহকর্মী ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেন মিয়াকে অবহিত করেন। তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ভোলা জেলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনিও আশ্বাস প্রদান করেন।

এঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দেয়ার দাবি জানিয়েছেন, দৈনিক ভোলার বাণী পরিবার, তজুমদ্দিন প্রেসক্লাব ও ভোলা জেলা অনলাইন নিউজ পোর্টাল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন সহ ভোলা জেলায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।

জানা গেছে , কাজ না করে ভুয়া ভাউচার দিয়ে সরকারী টাকা আত্মসাত, নারী কেলেঙ্কারি, জাল সনদে চাকরি সহ ব্যাপক দুর্নীতি- অনিয়ম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে হামলাকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। বাবুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা এবং দক্ষিণ মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন সেন্টুর বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার বিষয়ে বিভাগীয় মামলা রয়েছে। সম্প্রতি জাকিরের নারী কেলেঙ্কারি ও গোলাম হোসেন সেন্টুর বিরুদ্ধে ভুয়া ভাউচার দিয়ে সরকারী টাকা আত্মসাত সংক্রান্ত সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার জের ধরে এ হামলা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।