সর্বশেষঃ

নাড়ীর স্পন্দন অনুভবে রোগ নির্ণয়

মোঃ মহিউদ্দিন
প্রভাষক
ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ।

 

ধমনীর লাফানোকে নাড়ীর স্পন্দন বলা হয়,
ইহা স্পর্শ করে প্রায় রোগ নির্ণয় করা যায়।
ইংরেজিতে একে পালস বলে,
ফুসফুস হৃদ স্পন্দনের ক্রিয়া
অনবরত প্রাণীরদেহে চলে।
হৃদপিন্ডের সংকোচন ও সম্প্রসারণের ফলে
যে স্পন্দন অনুভূত হয় তাকে নাড়ী বলে,
বয়সভেদে নাড়ীর স্পন্দন কমবেশি চলে।
সুস্থ মানুষের নাড়ীর স্পন্দন
বাহাত্তর থেকে একশত বার হয়,
জ্বর, ভয়, যন্ত্রণা, পরিশ্রমে নাড়ীর
স্পন্দন বেড়ে যায়।
তর্জনী, মধ্যমা, অনামিকা আঙ্গুল
হাতের কব্জির উপর রাখুন,
গভীর জ্ঞানের অনুভবে
নাড়ীর স্পন্দন অনুভব করুন।
নাড়ীর স্পন্দন নির্ণয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের
সবচেয়ে কঠিনতম অধ্যায়,
নাড়ী বুঝে রোগ নির্ণয় যিনি করতে পারেন
তিনিই বিজ্ঞ চিকিৎসক হয়।
নাড়ী সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান দিয়েছেন
মুসলিম চিকিৎসক ইবনে সিনায়।
নাড়ির স্পন্দনকে ঠোক্কর বলে,
প্রতিটি ঠোক্করই রোগীর রোগের কথা বলে।
নাড়ী সাধারণত তিন প্রকার
যে নাড়ী বেশ জোরে ঠোক্কর লাগায়,
চেপে ধরলেও সে নাড়ীঅনুভূত হয়” সবল “।
ক্ষীণকায় দেহ হৃদ যান্ত্রিক দুর্বলতার
লক্ষণ নাড়ীও হয় ” দুর্বল “।
দুই নারীর মধ্যবর্তী নাড়ীর স্পন্দন কে
“পরিমিত” নাড়ী বলে,
জোরে চাপ দিলেও অনুভব হয়
রক্ত সেথায় চলে।
মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের নাড়ী
মন্থর ও সবিরাম,
মহিলাদের নাড়ী পুরুষদের তুলনায়
দ্রুতগতি ও অবিরাম।
গর্ভবতী মহিলাদের নারী হইবে
বৃহৎ, দ্রুত,অবিরাম।
আদ্র মিযাজ এর নাড়ী
পানির ঢেউয়ের মতো হয়ে থাকে,
শুষ্ক মিযাজ এর নাড়ী
সংকীর্ণতা ও কাঠিন্য বিদ্যমান থাকে।
শীতল মিযাজে এর নাড়ী
অধিক ক্ষুদ্রতম মন্থর ও সবিরাম হয়,
উষ্ণ মিযাজ এর নারী
সাধারণত দ্রুত ও সঠিক সবল রয়।
পক্ষান্তরে মিযাজে এর দোষ গত পরিবর্তন উষ্ণতা ও উত্তপ্ত যতই বৃদ্ধি পাবে,
শক্তি, সামর্থ্য ততই দুর্বল হবে।
নাড়ী যদি কোমল হয়
গতিতে বক্রতা দেখা দেয়,
তবে রোগীর মৃত্যু নিকটবর্তী হয়।
চিকিৎসকগণ চিকিৎসা শুরুর আগে
রোগীর নাড়ী পরীক্ষার সম্পর্কে
বিশদ জানবেন নিশ্চয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।