লঘুচাপের প্রভাবে মনপুরায় জোয়ারে প্লাবিত ৭ গ্রাম ॥ চরম দূর্ভোগে ৫ হাজার মানুষ

ভোলার মনপুরায় লঘুচাপের প্রভাবে অতি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৭ গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ওই সমস্ত এলাকার দিনে-রাতে দু’বেলা পানিবন্দি থাকায় মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে। অনেকের চুলায় হাড়ি উঠেনি। রান্না করতে না পারায় অনেকে অর্ধাহারে-অনাহারে গত দুই দিন ধরে দিনযাপন করছে।
এছাড়াও বেড়ীবাঁধহীন চরনিজাম, কলাতলীর চর ও শামসুদ্দিনের নিম্নাঞ্চল ৩-৪ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ওই সমস্ত এলাকার মানুষের দূর্ভোগের একই চিত্র। এদিকে, আজও (রবিবার) মেঘনার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।


পানিবন্দি এলাকার কাজল, রহিমা, বাদশা, শামসু, ইলিয়াস, রহিম, জামাল, রিংকু সহ অনেকে জানান, দিনের বেলায় জোয়ারের পানিতে বাড়ির উঠান সহ রান্না ঘরে পানি উঠে। এতে দিনের বেলায় রান্না করা যায় না। মুড়ি, বিস্কুট খেয়ে জীবন-যাপন করতে হয়। রাতে বেলার জোয়ারে ঘরের ভিতর পানি ডুকে যায়। তখন ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মূল ভূ-খন্ডের বেড়ীর বাহিরে থাকা আলমনগর, মাষ্টারহাট, সোনারচর, দাসেরহাট, চরযতিন, পূর্ব আন্দির পাড় গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন চরনিজাম ও কলাতলীর চর সহ শামসুদ্দিন চর গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই সমস্ত গ্রামের অন্তত ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছে।


পানিবন্দি এলাকার হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক, উত্তর সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন ও মনপুরা ইউপির ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান টিটু ভূইয়া জানান, রবিবার জোয়ারের পানি বেশি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ হাজারের বেশি মানুষ।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর উপ সহকারি প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, বেড়ীর বাহিরে থাকা গ্রামগুলোতে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আজও মেঘনার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।