চরফ্যাশনে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারের নেতৃত্বে হামলা-ভাংচুর ॥ জমি দখলের চেষ্টা

ভোলার চরফ্যাশনের দুলারহাট বাজারে রোববার সকালে নুরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে নির্মানাধিন হাওয়াদার বাড়ির সামনের মার্কেট ভাংচুর ও মারধর করে দখল করার চেস্টার অভিযোগ ওঠেছে। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন অবশ্য দাবি করেন, তিনি হামলা করেন নি। কলেজের সঙ্গে জমির বিরোধ ছিল। কলেজ ছাত্ররা হৈচৈ করছে শুনে তিনি ঘটনা স্থলে যান।


তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন হামলায় আহত আব্দুর রশিদ হাওলাদার (৬৫) ও তার ছেলে মোঃ কামাল হোসেন হাওলাদার জানান, কলেজের সঙ্গে তাদেও কোন বিরোধ নেই। বাড়ির শরিক আব্দুল মালেকের ছেলের কাছ থেকে পোনে ৭ শতাংশ জমি ক্রয়ের জন্যইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার গং বায়না করেন। এর সূত্র ধরেই চেয়ারম্যান বাজারের দক্ষিণ পাষে আগেই দখল করে ঘর নির্মান করেন। রোববার ওই সূত্র ধরে ফের তাদেও নির্মাধিন মার্কেটের ৩০টি ঘর ভেঙে দেয় চেয়ারম্যান বাহিনী । এ সময় চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর হামলায় আহত হন আব্দুর রশিদ হাওলাদার, তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম (৫০), সামছুন নাহার (২৮), মোঃ কামাল হোসেন। তবে স্থানীয়রা জানান, একই খতিয়ানের ৮ শতাংশ জমি কলেজের নামে দলিল করা হয়েছে। ওই জমিতে কলেজের ভবন নির্মান করা হবে।


এদিকে জমির আরেক মালিক কামাল জানান, আদালতে নিষেজ্ঞা থাকার পরও নুরাবাদের চেয়ারম্যান আনোয়ার তার বাহিনী নিয়ে আমাদের জমি দখলের চেস্টা করে ও ভাংচুর করে। তারা বাধা দিলে তার ক্যাডার বাহনিী মারধর শুরু করে । এসময় নারী পুরুষসহ অন্তত ১০/১৫ আহত হয়।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন। হামলা ও জমি দখলের চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আব্দুর রশিদ গংদের সাথে কলেজের সঙ্গে জমির বিরোধ ছিল। আজ সকালে আব্দুর রশিদ গংরা ঘর উত্তোলন করার চেষ্টা করেন। পরে  কলেজের ছাত্ররা হৈচৈ করছে শুনে আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে সবাইকে আপোষ মিমাংসার জন্য বসতে বলেছি।

দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার কথা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে   পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।