বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি, ৩০ মরদেহ উদ্ধার

ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে সোমবার সকালে যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। এ ঘটনায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, সোমবার সকালে আরেকটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ নারী ও ৩ শিশুসহ ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া ঠিক কতজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন, সেটাও স্পষ্ট নয়। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরাও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

সদরঘাট নৌ থানার ওসি রেজাউল করিম ভূঁইয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশগুলোর ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতলে নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ডুবে যাওয়া লঞ্চটির নাম মর্নিং বার্ড। এটি একটি ছোট আকারের লঞ্চ। ময়ূর-২ নামে আরেকটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এটি ডুবে যায়।

ডুবে যাওয়া লঞ্চ মর্নিং বার্ড ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ রুটে চলাচল করতো। ডুবে যাওয়ার সময় লঞ্চটিতে ৫০ জনের মতো যাত্রী ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা ময়ূরী-২ লঞ্চটি লালকুঠী ঘাটে যাত্রী নামিয়ে সদরঘাটের চাঁদপুর ঘাটে গিয়ে নোঙ্গর করার জন্য পেছন দিকে ঘুরছিল। ওই সময় লঞ্চটির পেছনে থাকা মর্নিং বার্ডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ডুবে যায় মর্নিং বার্ড লঞ্চটি। এ সময় ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রীদের কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েন।

বিআইডব্লুউটিএর যুগ্ম পরিচারক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, বেশিরভাগ যাত্রী উপরে উঠতে সক্ষম হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে ডুবুরিরা কাজ করছে।

 

সূত্র- ইত্তেফাক

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।