তজুমদ্দিনে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ভোলার তজুমদ্দিনে চাঁচড়ায় জমি জমার বিরোধের জের ধরে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সামছল হক মাষ্টার। রবিবার সকালে তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান উপজেলার ৪নং চাঁচড়া ইউনিয়নের উত্তর চাঁচড়া মৌজার জে.এল ৫৩, খতিয়ান নং ১২৫০, ৭৬৫ ও ৭৫৪ নং ১৪৯০ এবং ১৪৯১ দাগে মনোজা খাতুন জমি দখলের যে অভিযোগ করেছেন তা উদ্দেশ্যমূলক ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে ১২৫০নং খতিয়ানের ১৪৯১নং দাগের মোট জমি ৯২ শতাংশ। তার স্বামী সফিউল্যাহ উক্ত খতিয়ানে ১৭ শতাংশ জমি ক্রয়সুত্রে মালিক। ওয়ারিশ সুত্রে মনোজা খাতুন ও ছেলে রিয়াজ ৮শতাংশ জমি শরিফুল হোসেনের নিকট ২০১৯ সালে ৬৮৬নং দলিলমূলে বিক্রি করেন। অবশিষ্ট জমি তাদের ভোগদখলে রয়েছে। তাহার দাবীকৃত ৭৬৫ ও ৭৫৪ নং খতিয়ানের ১৪৯০নং দাগের জমি তাহার বসতবাড়ী, পুকুর এবং বাগান বাড়িতে ভোগদখলে আছে, যাহার দাগ নং ১২৭২, ১২৭৩,১৪৬৩, ১৪৬৪,১৪৬৫ ও ১৪৬৬।
তিনি আরো জানান, উক্ত খতিয়ানে আমরা আঃ মুনাফ গং হতে ২০১৬ সালে ৬৪ শতাংশ ও মোস্তফা হতে ৬ শতাংশসহ মোট ৮০ শতাংশ জমি ৩১৮ এবং ৩১০নং দলিলে খরিদসুত্রে মালিক হই। যে যার অবস্থানে ভোগদখলে থাকলেও একটি মহলের প্ররোচনায় আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করার জন্য বিধবা মনোজা খাতুনকে দিয়ে বিভ্রান্তি ও অপ-প্রচার অব্যাহত রেখেছে।
এসব বিষয় নিয়ে আমরা থানায় অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ দাখিল করি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় গ্রুপকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বললেও মনোজা খাতুন থানায় না এসে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আইনগত সহায়তা চাই।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।