সোলেইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে নিহত ৩৫

ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানির দাফন অনুষ্ঠানে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে অন্তত ৩৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ইরানি এই জেনারেলের নিজ শহর কেরমানে দাফনের আগে অনুষ্ঠিত জানাজার সময় পদদলনের ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৮ জন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেরমানে দেশটির জনপ্রিয় এই জেনারেলের জানাজায় লাখ লাখ শোকার্ত মানুষ অংশ নিয়েছেন। সেখানেই মানুষের ভীড়ে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা গেছে, শোকার্ত লোকজন অবসন্ন হয়ে পড়ে আছেন। অন্যরা তাদের বুকে ঘষামাজা করছেন। মাটিতে পড়ে থাকা কারও কারও মুখ জ্যাকেট ও কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেখা গেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেরমানে সোলেইমানির দাফন অনুষ্ঠানে শোকার্ত জনগণ ‘আমেরিকার মৃত্যু’, ‘ট্রাম্পের মৃত্যু’ চেয়ে স্লোগান দেয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন।

“মৃত হলেও শহীদ কাসেম সোলেইমানি এখন আরও ক্ষমতাধর,” দাফন অনুষ্ঠানে উপস্থিতদের উদ্দেশে বলেছেন ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল হোসেন সালামি।

এর আগে সোমবার সকালে যখন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সোলেইমানির মরদেহ ইনকিলাব চত্বরে পৌঁছায় তখন লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নেয় তেহরান। পরে তার মরদেহ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিহত কাসেম সোলেইমানির জানাজায় ইমামতি করেন। এ সময় খামেনিকে কাঁদতে দেখা যায়।

সোলেইমানির মৃত্যুতে ইরান তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছিল। ইরাক ও ইরানের বিভিন্ন শহরে কুদস বাহিনীর নিহত এ প্রধানের মৃতদেহর প্রতি সম্মান জানাতে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে ‘আমেরিকার মৃত্যু’ কামনা করে স্লোগান দিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের স্থপতি হিসেবে পরিচিত কুদস ফোর্সের শীর্ষ এই জেনারেলকে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের যুদ্ধোন্মাদনা বিরাজ করছে

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।