সরকারি হস্তক্ষেপে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট পাল্টানোর চেষ্টা চলছে : মির্জা ফখরুল

হাসপাতাল কারাগারে গুরুতর অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট পাল্টানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে সুপ্রিমে কোর্টে যে মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল সেটি এখনও পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়নি। আমরা যেটুকু জানি, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল সরকারের হস্তক্ষেপে সেই রিপোর্ট বাদ দিয়ে অন্য একটি রিপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে আমরা পরিষ্কারভাবে লক্ষ্য করছি, বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে কারাগারে আটকে রাখার ব্যবস্থা করছে সরকার। এতে করে উনার যে অধিকার এবং মানবাধিকার আছে সেটা চরমভাবে লংঘন হচ্ছে।
বুধবার সকালে গুলশানের লেকশোর হোটেলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয?োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ এতে বক্তৃতা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত দশ বছরে শুধুমাত্র ভিন্নমত এবং ভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তা পোষণ করার কারণে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে মামলার আসামি করা হয়েছে। মামলা দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ১৪টি। ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সরকার এবং আওয়ামী লীগের হাতে মারা গেছেন ১ হাজার ৫২৬ জন। গুম হয়েছেন আমাদের হিসাব মতে, বিএনপির ৪২৩ জন, সর্বমোট ৭৮১ জন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় গত ২০ মাস ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এসব মামলায় যারা আসামি আছেন তারা সবাই জামিন পেয়েছেন এবং জামিনে আছেন। কিন্তু দেশনেত্রীকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্নভাবে সরকার তাঁর জামিনে বাধাগ্রস্ত করছে।
মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও পাকিস্তানসহ ১৫টি দেশের প্রতিনিধি এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গত দশ বছরে সরকার এবং আইনশৃড়খলা বাহিনীর হাতে ঘুম এবং খুন হওয়া বিরোধী দলের মোট ২৭ টি পরিবারের সদস্যরা উপস্থি ছিলেন।

 

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।