বোরহানউদ্দিনে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বার ঘটনা শুনে মায়ের মৃত্যু: ধর্ষক আটক

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সফিজল হকের মেয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী কে দুলাল নামের এক ট্রাকের ড্রাইভার কর্তৃক ধর্ষণের দরুন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, সাফিজলের স্ত্রী মেয়ের এরূপ খবর শুনে স্টোক করে মারা যায় এমন অভিযোগ এনেছে সাফিজলের পরিবার।
তবে যে দুলাল নামের নরপশু এহেন ধর্ষণ করেছে তা ধর্ষীতার প্রতিবেশী ইয়ানুর নামের এক মহিলা তার বসত ঘরে ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে ট্রাক চালক দুলাল কে ধর্ষণ করতে সহায়তা করেন বলে জানায় ভুক্তভোগীর পরিবার।

ধর্ষককে সহযোগিতা করা মহিলা ইয়ানুর কাচিয়া ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আজিজুল এর স্ত্রী। ইয়ানুর নামের এই মহিলার নামে এলাকায় এমন আরও অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়।

তবে ভুক্তভোগী পরিবার এখন আইনের আশ্রয় আছে।

এই বিষয়ে অ্যাডিশনাল এসপি লালমোহনের সার্কেল মোঃ রাসেলুর রহমান জানান, আমি বোরহাউদ্দিন থানার ওসি মোঃ এনামুল হকের সাথে কথা বলে দ্রুত ধর্ষক কে আইনের আওতায় আনার জন্য বলেছি।

ইতোমধ্যে ধর্ষকের সহযোগী মহিলা ইয়ানুর বেগম পালিয়েছেন বলে জানায় এলাকাবাসি। তাৎক্ষনিকভাবে আনুমানিক বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ধর্ষক ট্রাকচালক দুলালকে লালমোহন থানা পুলিশ আটক করেন।

লালমোহন থানা (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, এই ধর্ষক দুলালের বাড়ি লালমোহনে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। দুলাল এখন লালমোহন থানার আওতায় আছে, তাকে বোরহাউনউদ্দিন থানায় হস্তান্তর করা হবে।

এই বিষয়ে বোরহাউদ্দিন থানার (ওসি) ম. এনামুল হক জানান, অভিযুক্ত দুলাল এখন আইনের আওতায় আছে, ধর্ষকের সহযোগী মহিলা ইয়ানুর বেগম কে আইনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।