৫৪০ কোটি অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছে ফেসবুক

ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরির হার বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছরে ৫৪০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট ফেসবুক থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়,সাম্প্রতিক সময়ে ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধির প্রমাণ পাওয়ায় তারা এমন ব্যবস্থা নিয়েছে।

রেকর্ড সংখ্যক ভুয়া অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হলেও ফেসবুকে এখনো লাখো অ্যাকাউন্ট থেকে গেছে। এর আগে গত বছরও ফেসবুক থেকে ৩৩০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হয়েছিল।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বর্তমানে ফেসবুকের প্রায় ২৫০ কোটি অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৫ শতাংশ ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের ফলেও এসব ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা না গেলেও আগের তুলনায় বেশি করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে।

চলতি বছরের শুরুতে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরির হার সবচেয়ে বেশি ছিল। ওই সময় ২০০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে ফেসবুক। এরপর এপ্রিল থেকে জুন মাসে ১৫০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি হয় ফেসবুকে। তবে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে আবার ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরির হার বেড়েছে। ওই তিন মাসে ১৭০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে।

গত বছর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হয়ে কেমব্রিজ অ্যানালাইটিক নামের প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তখন কয়েকজন গবেষককে ব্যবহারকারীদের তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির বিরুদ্ধে। ওই গবেষকের সূত্রে ব্যবহারকারীদের তথ্য চলে যায় কেমব্রিজ অ্যানালাইটিকের কাছে।

এসব অভিযোগ আমলে এনে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ঘিরে ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে ফেসবুকের তৎপরতা বোঝা যাচ্ছে। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘সংখ্যা অনেক বেশি হওয়া মানেই সব ক্ষতিকর কনটেন্ট নয়। এর অর্থ, আমরা ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করতে কঠোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। তাই অনেক বেশি অ্যাকাউন্ট ধরা পড়ছে।’

এদিকে, ফেসবুক ছাড়াও ইনস্টাগ্রামেও ভুয়া পোস্ট বাড়ছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। প্রথমবারের মতো ইনস্টাগ্রামকে ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে ফেসবুক জানিয়েছে, গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসে ৩০ লাখ কনটেন্ট সরিয়েছে তারা। প্রতি ছয় মাস পরপর ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।