ভোলা ও চরফ্যাশনে উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে তালা!

ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভোলাকে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। এ অবস্থায় ভোলার বিভিন্ন আশ্রয়ন কেন্দ্রগুলোতে মানুষ আসতে থাকে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে বিভিন্ন সাইক্লোন সেল্টার কাম স্কুল ও মাদরাসাগুলো তালাবদ্ধ দেখা গেছে। এতে করে চর দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে দেখা গেছে ঘূর্ণিঝড় আতংকগ্রস্ত সাধারণ মানুষদের। পরবর্তীতে তারা স্থানীয় অন্য আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। এসব ভবনগুলো তালাবদ্ধ থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এমনই একটি চিত্র দেখা গেছে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ স্কুলের ভবনটি মানুষের জন্য খুলে দেয়া হয়নি। কি কারণে এটি খুলে দেয়া হয়নি এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে চরফ্যাশন উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমাণ্য করে নদী তীরবর্তী মৎস্য ঘাট সামরাজ, হাজারীগঞ্জ এলাকায় সাইক্লোন সেল্টার কাম বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা তালা বদ্ধ থাকার কারনে কেউ আশ্রয় নিতে পারেনি। ফলে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে তিন গ্রামের মানুষ। এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করলে জানান, শশীভুষণ থানার আওতাধীন মিয়াজান পুর ফাযিল মাদ্রাসা, ২৩ নং পুর্ব মিয়াজান পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজারী গঞ্জ হামিদিয়া ফাযিল মাদ্রাসার ভবনগুলোতে তালাবদ্ধ থাকার কারণে ঐ তিন গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা তালাবদ্ধ রেখে বাড়িতে চলে যান। ফলে এলাকার আবালবৃদ্ধ বনিতারা সব সময়ই দুর্যোগের সাথে মোকাবিলা করে বেচেঁ থাকে।
ভোলা ও চরফ্যাশনে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও মোকাবেলা বিষয়ক জরুরী বৈঠকে সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানগনকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো উম্মুক্ত রাখার নির্দেশ দেন উপজেলা প্রশাসন। তা না করে তারা উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।