দৌলতখানে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে আশ্রয় কেন্দ্র ছুটে এসেছেন চরাঞ্চলবাসী

ভোলার দৌলতখানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর আতঙ্কে চরাঞ্চল থেকে আশ্রয় কেন্দ্র ছুটে এসেছেন শত শত মানুষ । আজ শনিবার বেলা ১২ টায় তারা দৌলতখানের চরহাজারী চর হাজীপুর সহ কয়েকটি চরাঞ্চল থেকে নৌকাযোগে জীবনের ঝুকি নিয়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে দৌলতখানের কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র এসে পৌঁছেছেন । তবে দৌলতখান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কয়েকটি ইউনিয়নসহ ২৬ টি কন্টোলরুম খোলা হয়েছে। জনগনকে সচেতনতায় ঘূর্ণীঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপির) উদ্যোগে মাইকিং (প্রচার) করে সতর্ক করায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ছুটছে মানুষ। । প্রশাসনের উদ্যোগে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে মূল ভুখন্ডের আশ্রয়কেন্দ্রেগুলোতে উঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। বাজার কিংবা রাস্তা-ঘাট মানুষের আনা-গোনা কমতে শুর“ করেছে। রাত যত গভীর হবে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক তত বিরাজ করবে। আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আসার জন্য চলছে প্রশাসন কর্তৃক সতর্কতামূলক মাইকিং। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল র“ম। আবহাওয়ার এহেন অবস্থায় ¯স্থানীয় লক্ষাধিক মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। ঘূর্ণীঝড় প্রবল হওয়ায় ভোলায় বিপদ সঙ্কেত ৭ নম্বর থেকে বাড়িয়ে ১০ নম্বর করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে করে নড়েচড়ে বসেছে উপজেলা প্রশাসন। রাত যতই ঘনিয়ে আসবে এলাকার মানুষের মাঝে আতংক ততই ঘনীভ‚ত হবে।এব্যাপারে দৌলতখান নির্বাহী কর্মকর্তা জীতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ঘূর্ণীঝড় মোকাবেলায় আমরা প্র¯‘তি মূলক সভা করেছি। বি”িছন্ন চরগুলো থেকে মানুষকে নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও সিপিপি মাইকিং করছে। কন্ট্রোল র“মও খোলা হয়েছে। এছাড়া চরাঞ্চল থেকে শতশত মানুষকে আনা হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্রে

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।