সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি

দুর্নীতির তদন্তের পর থেকেই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ইলিশার সেই শিক্ষিকা রাবেয়া

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশার ১২নং গুপ্তমুন্সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া বেগম এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে স্থানীয় সমাজ সেবক জমিদাতা ইব্রাহীম বয়াতী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, দুর্নীতি দমন কমিশনার বরিশাল বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। দুর্নীতির অভিযোগ এর ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান সরজমিনে তদন্তে যান।
এদিকে তদন্তের দিন রাবেয়া বেগম এর ভাই প্রভাবশালী জসিম উদ্দিন ঐ স্কুলে গেলে স্থানীয় অভিভাবকদের তোপের মুখে তিনি স্থান ত্যাগ করেছেন। আবার এর কিছুক্ষন পর প্রধান শিক্ষিকার আরেক বোন পশ্চিম ইলিশার সাবেক মহিলা মেম্বার জাহানারা বেগম ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশ নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সামনে গুজব ছড়িয়ে বির্তক সৃষ্টি করছেন। তার দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে ভোলার বাণীসহ স্থানীয় ও জাতীয় এবং অনলাইন প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোলার বাণীর এই প্রতিবেদক দুপুরে বিদ্যালয় গিয়ে দেখেন অন্য সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া বেগম উপস্থিত নেই। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস বলেন, রাবেয়া ম্যাডাম সেই দুর্নীতির তদন্ত করে যাওয়ার পর থেকে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন এবং আমাদের সাথে কোন যোগাযোগও করেননি তিনি। বিদ্যালয়ের প্রবীণ এই শিক্ষক জানান, ম্যাডামের দুর্নীতি তদন্ত আসার পর ম্যাডামের বোন আমাকে দেখিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া বেগম এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য সন্ধ্যা (৭ : ০৮ মিনিটে) ফোন দিলে তিনি প্রথমে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। এর কিছুক্ষণ পর অন্য নাম্বারে ফোন দিয়ে কামরুল হাসান নামে এক লোক ফোন দিয়ে নিজেকে বড় পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বলেন, ম্যাডাম ছুটিতে আছে। আবার প্রধান শিক্ষিকা ফোন করে বলেন, আপনি এই সময় আমাকে ফোন দিলেন কেনো ? আমি আপনার বিরুদ্ধে কালই অভিযোগ দায়ের করবো, আমি দেখে নেবো আপনি কেমন সাংবাদিক ?
বিদ্যালয়ের সভাপতি জহুরা বেগম বলেন, আপা বিদ্যালয়ে কেনো আসে না আমি জানি না।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আবু তাহের জানান, রাবেয়া বেগম বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় আমাকে সেখান থেকে একজন ফোন দেয়। এরপর আমি সকাল সাড়ে ১১ টার সময় ফোন দিয়েছি ঐ প্রধান শিক্ষিকাকে। প্রথমে ফোন রিছিভ করেন নি। পরে কল ধরে বলেন, তিনি ছুটিতে যাবেন; কিন্তু তার ছুটির বিষয়ে তিনি আমাকে কিছুই জানান নাই এবং আমি জানিও না।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।