ভোলার মেঘনায় জাল বসানোকে কেন্দ্র করে চাচা-ভাতিজা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ॥ আহত-১০

এম রহমান রুবেল ॥ ভোলার মেঘনায় নিষিদ্ধ পাইজাল ও বাধাজাল আগে ও পরে বসানোকে কেন্দ্র করে চাচা ফারুক ও ভাতিজা ফরিদ গ্রুপের মাঝিদের ভিতর সংঘর্ঘের ঘটনা ঘটে। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে উভয় গ্রুপের মাঝিদের মধ্যে নদীতে ইট পাটকেল ও মারা মারির ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনায় অন্তত ১০জন আহত হয়। ফরিদ গ্রুপের আহত মাঝিরা হলেন- নোয়াখালীর বাসিন্দা ইলিয়াস, রাজু, শাহাবুদ্দিন। অপরদিকে ফারুক গ্রুপের মাঝিরা হলেন-জয়নাল মাঝি, মনির, মাহফুজ গংরা। উভয় গ্রুপের আহত মাঝিরা কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। অপরদিকে কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতেই রয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ফারুক ব্যাপারি ও শাহজল ব্যাপারির জেলেদের ভিতর জাল আগে পরে বসানোকে কেন্দ্র করে মেঘনা নদীর ভিতর ইট পাটকেল ও লাঠি-সোডা দিতে মারা মারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফারুক ব্যাপারি ও শাহজল ব্যাপারির গ্রুপ মাঝিদের মাথায় আঘাত লেগে জখম হয়। এ নিয়ে এলাকায় মাঝিদের ভিতর চরম ভয় দেখা দিছে।
এলাকাবাসিরা জানান, কয়েকদিন পর পর মাঝিদের ভিতর এমন ঘটনা ঘটে। নিজের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটলে ব্যবসায়ীরা একত্রে বসে উভয়কে বসিয়ে বিষয়টি সমাধান করেন দেন। তবে এ বিষয়ে নৌ-পুলিশ নদীতে নজরদারির রাখলে হয়ত এমন অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা হতো না। নৌ-পুলিশের নজরদারি থাকলে যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা থেকে প্রতিরোধ পাওয়া সম্ভব হত।
এ ব্যাপারে ঘাট মাছ ব্যবসায়ী ফরিদ বলেন, আমাদের লোকজনের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে আমার চাচা ফারুক ব্যাপারির মাঝিরা। আমার অনেক মাঝি আহত হয়েছে, তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আমি এই হামলার পিছনের সেল্টার দাতার বিচার দাবি করছি।
অপরদিকে অভিযুক্ত ফারুক ব্যাপারি জানান, আমার ভাতিজাকে লালন পালন করে বড় করেছি, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাইতে ওর লজ্জা করে না ? আমি ওর চাচা, আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দিতে পারলো ? আমি ঘটনার সাথে জড়িত ছিলাম এমন একটি প্রমান সে দেউক। যদি আমি এমন কোন অভিযোগের সাথে সম্পৃক্তা থাকি তাহলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে বলি, প্রশাসন যে শাস্তি দেয় তা মাথা পেতে নিব। আমি একজন সমাজ সেবক ও জনপ্রতিনিধি। আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি কু-চক্রী মহল আমার ভাতিজার পিছনে লেগেছে। তবে এই চক্র আমার কিছুই করতে পারবে না। কারণ আমরা চাচ-ভাতিজা একই থাকবো এবং একসাথে ঘাটে ব্যবসা করবো।
এ বিষয় ভোলা নৌ-থানার ওসি’র সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, নদীতে সংঘর্ষের খবর আমার কাছে নাই। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনির হোসেন মিঞা বলেন, মারা মারি খবর শুনেছি, কিন্তু কোন পক্ষের লোকজন অভিযোগ দিতে আসে নাই। অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।