পরিবেশ বান্ধব হাঁস-মুরগির ঘর পেয়ে আনন্দিত বোরহানউদ্দিনের ১১১ সুবিধাভোগী
মনিরুজ্জামান, বোরহানউদ্দিন : হাঁস-মুরগির পরিবেশ বান্ধব ঘর পেয়ে আনন্দিত বোরহানউদ্দিনের ১১১ সুবিদাভোগী । প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) অর্থায়নে, সুফলভোগী ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর এর সহযোগিতায় এ সব নির্মিত হয়। গ্রামীণ অনগ্রসর জন গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তাদেরকে হাসঁ –মুরগি পালনের জন্য এসব ঘর প্রদান করা হয়। মূলত প্রাণিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, চাহিদা সৃষ্টি, নিরাপদ প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদন নিয়ে কাজ করছে এ প্রকল্পটি ।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর স‚ত্রে জানা যায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন সুবিদাভোগীর তালিকা তৈরি করেন। এরপর সুবিদাভোগিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা সৃষ্ট করা হয়। বোরহানউদ্দিন উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১১১ জন (এলডিডিপি) পিজি সদস্যদের স্বাবলম্ভী করার লক্ষ্যে হাঁস – মুরগি পালন করে প্রত্যন্ত এলাকার নারীর আয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্যোগ নেয় এলডিডিপি প্রকল্প। আর এতে অর্থায়ন করেছে বিশ্ব ব্যাংক।
ভেটেরিনারি সার্জন ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কে,এম আসাদুজ্জামান জানান, সুবিদাভোগী
নির্বাচিত করার পর তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা দ্বারা গ্রামীণ নারী সমাজ পরিবেশ বান্ধর এ সব ঘরে হাঁস- মুরগির লালন-পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ।
সরেজমিন গিয়ে কথা হয় বড় মানিকা ৬ নং ওয়ার্ডের উত্তর বাটামারা গ্রামের সুবিদাভোগি বিলকিছ,পারুল
রানু,নুরজানহান, নাসরিন বেগম এবং দেউলা ইউনিয়নের রেনু,সালমা,রহিমা,মাইনুর বেগম এর সাথে ।তাঁরা
জানান , প্রতিটি শেড নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২০ হাজার টাকা। যা দিয়ে তাঁরা ভালো করে মুরগি পালনের পরিবেশবান্ধব ঘর নির্মাণ করেন। হাঁস – মুরগির পরিবেশ বান্ধব ঘর ,প্রশিক্ষণ এবং উপকরণ পেয়ে তারা খুশি। তাঁরা আরও জানান,আগে মুরগির রোগ-বালাই সম্পর্কে তাদের ভালো ধারণা ছিলা না। এ প্রকল্পের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁরা বিষয়গুলো জানাতে পেরেছে।
বড় মানিকা ও দেউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার,আসাদুজ্জামান বাবুল বলেন, এর মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র নারীসমাজ আয় বৃদ্ধিম‚লক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকতা মো: রায়হান-উজ্জামান বলেন,এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ নারী সমাজের আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুধ, ডিম, মাংসের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।