ব্লু-ইকোনমি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা

বাংলাদেশকে ঘিরে উন্নত পরাশক্তিগুলির নজরধারী ও ইন্টারেস্ট এর কারণ এর মধ্যে অন্যতম বঙ্গোপসাগরের প্রাকৃতিক সম্পদ এর উৎস। বিশ্ব পরিমন্ডলে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কুটনৈতিক তৎপরতা বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরকার বদলের তৎপরতায় দেখা যাচ্ছে কুটনৈতিকদের। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ এর অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাফল্য নিয়ে সারা বিশ্বময় ব্যাপক আলোচনা চলছে। আলোচনার কেন্দ্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে দৃঢ় পদক্ষেপ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এক যুগান্তকারী বৈপ্লবিক পরিবর্তণ সাধন। বিশেষ করে পদ্মা বহুমুখী ব্রীজ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন শেখ হাসিনার অন্যতম সাফল্য হিসাবে চিহ্নিত হওয়া।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাসটেইনেবল করতে হলে সমুদ্র সম্পদ আহোরণ ও কাজে লাগাতে হবে। এই ধারণা থেকে সমুদ্র সম্পকে রক্ষার জন্য নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টির সফলতার পরিচায়ক হিসেবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০১৫ সালের পরবর্তী সময় টেকসই উন্নয়নের যে কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে তার মূল বৈশিষ্ট-ই ব্লু-ইকোনোমি বা সমুদ্র অর্থনীতি। সারা বিশ্বের ১৫ ভাগ প্রোটিন এবং ৩০ ভাগ জ্বালানি চাহিদার যোগান দিচ্ছে সমুদ্র।
বছর ব্যাপী ৩ থেকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে সমুদ্রকে ঘিরে। অর্থনীতিবিদদের মতে সমুদ্র থেকে সম্পদ আহোরণ করতে পারলে বাংলাদেশের জিডিপি ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক সমুদ্র সম্পদ গবেষকরা বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক প্রাণিজ ও অ-প্রাণিজ খনি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ইতিমধ্যে সমুদ্র সম্পদের উপর জরিপ করার জন্য শেখ হাসিনা সরকার জরীপ জাহাজ কিনেছেন। এই বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে সমুদ্র অর্থনৈতিক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভূ-রাজনীতি। এই ভৌগলিক গঠন ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর থাকায় বাংলাদেশ সব সময় বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির নজরে আসে।
ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার দেশের অর্থনৈতিক গতিশীল করার জন্য বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে মংলা পোর্টকে আধুনিক করণ ও সংস্কার করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো গতিশীল করার জন্য বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজ চলমান আছে। পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে শেষের পথে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ দ্রততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। এর থেকে প্রতিয়মান হয় যে, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় তিনি ২০৪১ সাল এর মধ্যে নিয়েছেন তা উক্ত সময় সীমার আগেই উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশের সারিতে জায়গা করে নিতে পারবে।
এই মূহুর্তে দেশের দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠীকে সতর্ক থাকতে হবে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার পিছনে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দুনিয়ার এমন কোন শক্তি নেই যে, আমাদের দেশকে পদানত করতে পারে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা সংগ্রাম তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই সময় বিশ্বের দুই পরাশক্তির বিরোধিতা সত্ত্বেও আমরা অল্প সময়ের মধ্যে স্বাধীনতার লাভ করেছিলাম।

লেখক : ফজলুল কাদের মজনু
সভাপতি
ভোলা জেলা আওয়ামীলীগ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।