সর্বশেষঃ

ভোলায় আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালিত

এম রহমান রুবেল ॥ শোকাবহ আগস্টে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সহ শাহাদতবরণকারী শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) সকালে ভোলা জেলা আ’লীগের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা আ’লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, ভোলা সদর আসনের এমপি সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
আলোচনা সভার শুরুতে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শাহাদতবরণকারীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মমিন টুলু, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড দোস্ত মাহমুদ, আশ্রাফ হোসেন লাভু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ, এনামুল হক আরজু, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন লিংকন প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নজুরুল ইসলাম গোলদার, জেলা প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রনি, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ পলাশ, জেলা আ’লীগের সদস্য হেমায়েত উদ্দিনসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দরা।
বক্তরা তাদের বক্তব্য বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে মৃত্যুর অনেক দিন পর ১৯৯৬ সালে আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। কিন্তু ২০০২ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে আবার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। তার ৬ বছর পর হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার ১৫ আগস্ট কে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পূর্ণ বহাল করে। তারা আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি কাল রাত। এই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার সহ মোট ২৬ জন কে হত্যা করা হয়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর ২ কন্যা শেখ রেহনা ও শেখ হাসিনা বিদেশির মাঠিতে থাকার কারণে তারা দুই জন আল্লাহর ইচ্ছায় বেঁচে যান। আলোচনা শেষে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু সহ ২৬জন নেতা শহীদ হয়েছেন। সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাবার বিতরন করা হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।