সর্বশেষঃ

দুর্ভোগ রোগী ও সংশ্লিষ্ট সকলের

লালমোহনে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে হাটু পর্যন্ত পানি

জাহিদ দুলাল, লালমোহন প্রতিনিধি ॥ ভোলার লালমোহনের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে পানি নিঃস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মাসের পর মাস হাটু পর্যন্ত পানি জমে রয়েছে, দুর্ভোগ রোগী ও সংশ্লিষ্ট সকলের। বর্তমানে প্রায় দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে কেন্দ্রটি। দিনে দিনে পচে যাচ্ছে ওই পানি। এতে করে বেড়েছে মশার উপদ্রব। জমে থাকা পানিতে মাঝে মধ্যেই দেখা মিলে সাপের। ওই পানির কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা মানুষজনসহ সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে শিশু, কিশোর-কিশোরী, গর্ভবতী সেবা, প্রসব সেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা এবং সাধারণ রোগীরাও এখান থেকে নিয়মিত সেবা নিচ্ছেন। প্রতিদিন যার পরিমাণ প্রায় দুইশত। দীর্ঘ দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে এখানে পানি জমার কারণে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ও সেবাপ্রত্যাশীদের দুর্ভোগ সঙ্গী করেই চলতে হচ্ছে।
তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়ন থেকে লালমোহনের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে এক আত্মীয়কে ডেলিভারি করাতে নিয়ে এসেছেন মো. মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, দুপুরে আত্মীয়কে নিয়ে এখানে এসেছি। এই ভবনের আশেপাশের পানিগুলো পচা। এ পানিতে হাটতেও অস্বস্তি লাগে। এখান দিয়ে হাটার পর এখন পা চুলকাচ্ছে। এতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানের এমন অবস্থাতে আমাদের মতো অনেককেই দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।
লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) মিরা রাণী দাস বলেন, বৃষ্টির প্রথম থেকেই এখানে পানি জমে রয়েছে। একদিন বৃষ্টি হলে ১৫ দিনেও পানি সরে না। এতে করে বিগত দুই মাস ধরে এখানে পানি জমে রয়েছে। জমে থাকা পানির কারণে বেড়েছে মশা। মাঝে মাঝেই দেখা যাচ্ছে সাপ। এতে করে রোগীসহ এখানে কর্মরত সকলেরও মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই জমে থাকা এ পানি নিঃস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি প্রয়োজন।
এ বিষয়ে লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচএফপি) এবং ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অমিত কর্মকার জানান, নিঃস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণেই এখানে পানি জমে রয়েছে। এখান দিয়ে চলাফেরা করতে সত্যিই অনেক কষ্ট হচ্ছে। এ কষ্ট লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরেই যোগাযোগ করেছি। আশা করা যায়- খুব শিগগিরই পানি নিঃস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।