সর্বশেষঃ

বোরহানউদ্দিনের আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত

মোঃ ইকবাল হোসেন, বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি ॥ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বর্তমান এমপি আলী আজম মুকুলকে হত্যার হুমকির অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বুধবার ২৬ জুলাই স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধানের সই করা অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। বরখাস্তকৃত পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সরদার বর্তমানে কারাগারে। তার বিরুদ্ধে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল এমপিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও কলে হত্যার হুমকির অভিযোগ ওঠে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ জানায়, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সরদার ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল এমপিকে ভিডিও কলের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দিলে গত ২৬/০৬/২০২৩ তারিখে ৬১১ স্মারকে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রধান করা হয়। কারণ দর্শানোর ১০ কার্যদিবস অতিক্রম হলেও উপস্থিত হয়ে জবাব প্রধান না করায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের ২৬ জুলাই ২০২৩ তারিখের ৭২৮ নং স্মারকের প্রজ্ঞাপনে, জনস্বার্থে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।


যোগাযোগ করা হলে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান জানান, এমপি আলী আজম মুকুলকে হত্যার হুমকির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সরদারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২/০৬/২০২৩ইং দৌলতখান উপজেলার নুর মিয়ার হাটে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সরদারের ছেলে রোহান সরদারের নেতৃত্বে চাঁদাবাজির চেষ্টা করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও ত্রাস সৃষ্টি করে। পরে ওই বাজার ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে রোহান সরদাকে আটকে রেখে দৌলতখান থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। আলাউদ্দিন সরদার সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলকে অনুরোধ করেন তার ছেলে রোহান কে ছাড়িয়ে দিতে। কিন্তু সংসদ সদস্য অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে আইনগত ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এতে আলাউদ্দিন সরদার ক্ষিপ্ত হযয়ে উল্লিখিত ভিডিও ভিডিও বার্তায় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলকে হত্যার হুমকি দেন। একজন সংসদ সদস্যকে হুমকিতে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করলে, নেতাকর্মীরা আন্দোলনে মুখরিত হয়ে উঠেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।