সর্বশেষঃ

ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, ঘরে ঘরে জ্বর ।। শঙ্কিত ডাক্তার-রোগী

মনিরুজ্জামান, বোরহানউদ্দিন : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলছে। সোমবার সকাল নয়টার মধ্যে হাসপাতালে ১০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। সাথে নতুন যুক্ত হয়েছে ঘরে ঘরে জ্বর আর ডায়রিয়ায় রোগী। এতে করে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। ডাক্তারদের মতে, বহি:বিভাগে আগত রোগীর ৬৭ ভাগ জ্বর নিয়ে আসা।ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুর সংখ্যা বেশি।
বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের পরিসংখ্যান অফিসার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রবিবার (২৩জুলাই) ৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হলেও পরদিন সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে ১০ জন ভর্তি হয়েছে।জানুয়ারী থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ডায়রিয়ার রোগি ছিলো ১৪৫৭জন।
হাসপাতালের বর্হিবিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার চন্দন মিস্ত্রী,ডা.তাহমিনা বলেন,বর্হিবিভাগে দৈনিক ১৫০ জন রোগী দেখলে ১০০জন পাওয়া যায় জ্বরের রোগী।ডাক্তার তহমিনা বলেন,এখন এনএসওয়ান এন্টিজেন্ট পরীক্ষা করালে নেগেটিভ আসে। অথচ সিবসি(কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) করালে একই রোগির ডেঙ্গু পজেটিভ হয় । এটা নতুন লক্ষণ।
বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে বর্হিবিভাগে গিয়ে দেখা যায় রোগী আর রোগী।এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে। পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের কাঁকন জানান, তার ছেলে আরমান (২ মাস) হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত। বড় ছেলে সাহেদের জ্বর এখনও পুরোপুরি সেরে উঠেনি। গংগাপুর ইউনিয় থেকে আসা ইয়াসমিন, বড় মানিকা ইউনিয়নের রোগী মিনহার মা নুরনাহার, পক্ষিয়ার আরাফাতের মা শাহনাজ বলেন, তাদের সন্তারা কয়েকদিন যাত জ্বওে আক্রান্ত। টবগী ইউনিয়নের দালালপুর গ্রাম থেকে আসা নাজমুন নাহার বলেন, তার ছেলে জিহাদ ৮/১০ জ্বরে আক্রান্ত। এখন ডেঙ্গু হয়েছে বলে ডাক্তারগন জানান।
বর্হিবিভাগের ভারপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট আবুল কালাম বলেন, ঔষধ দিয়ে শেষ নাই। দৈনিক ২/৩ হাজার প্যারাসিটামল চলে যায়। যা বিগত দিনের চেয়ে কয়েকগুন বেশি। বিভিন্ন প্রাইভেট চেম্বারের ডাক্তারগণ জানান, ঘরে ঘরে জ্বর। চলতি সপ্তাহে তাদের কাছে আসা রোগীদের ৯০ শতাংশ ছিল জ্বরে আক্রান্ত।টেষ্ট করালে অধিকাংশেরই ডেঙ্গু পজেটিভ হয় ।
জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. প্রসেনজিৎ দে জানান, ডেঙ্গুর পাশাপাশি ভাইরাল জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে জ্বরে আক্রান্তদেরকে তিনি ব্যাথানাশক ঔষধ ব্যবহার না করার আহবান জানান। বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মো. তারেক বলেন, জ্বরে আক্রান্তের হার আগের চেয়ে বেশি। প্রতিদিন বর্হিবিভাগে ৪০০/৪৫০ জন চিকিৎসা সেবা নেয়। চেষ্টা করছি সেবা দেওয়ার জন্য। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন না করার অনুরোধ জানান।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।