সর্বশেষঃ

আমি টাকা কই পামু, কিভাবে চিকিৎসা করামু ?

মনিরুজ্জামান, বোরহানউদ্দিন ॥ বৃহস্পতিবার। ২০ জুলাই। সকাল ১০টা। ডেঙ্গু পরিস্থিতির খবরাখবর নিতে উদ্যোগী হই। চলে যাই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। জরুরি বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ইমরানের সাথে কথা বলি। চলে যাই দ্বিতল ভবনের আন্ত মহিলা ওয়ার্ডে। রোগি আর রোগি। সাথে আছে স্বজনরা। সব মিলিয়ে বেশ জটলা। ফাঁক দিয়ে বেডে বেডে যাই।দেখি একজন মা বেডে বসে আসে। তাঁর ছেলে ঘুমাচ্ছে। মা অপলক দৃষ্টিতে ঘুমন্ত ছেলের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ দিয়ে পানি ঝঁড়ছে। তাঁর সাথে কথা হয় এই প্রতিনিধির।
মা সারমিন আকতার জানান, তাঁর দুটি ছেলে। বড় ছেলে সাজিম (১০)। ব্র্যাক স্কুলে লেখা পড়া করে। কয়েকদিন যাবত ছেলেটি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। কুতুবা গ্রামের ছাগলা ইউনিয়নে তাদের বাসা। ১৭ জুলাই হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। ৩ হাজার টাকা কর্জ করে আসি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর টাকা শেষ। ছেলের অবস্থা দিন দিন খারাপ। চোখ মেলতে কিংবা খাইতে পারছেনা।
কথা হয় কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ ও নুশরাতের সাথে। তাঁরা জানান, প্লাটিলেট দিন দিন কমছে। ভর্তির দিন ১৭ জুলাই ছিল ১ লাখ ৮৭ হাজার, ১৮ জুলাই ১ লাখ ৪৮ হাজার, ১৯ জুলাই দাড়িয়েছি ৬৮ হাজার। এ অবস্থা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়া প্রয়োজন।
ঢাকার কথা শুনেই বাকরুদ্ধ মা। তিনি জানান, তিন বেলা খেতে পারিনা। অভাবের সংসার। এক বেলা খেলে অন্য বেলা উপোস থাকতে হয়। কেমনে চলছি জানে আল্লাহ। হাউমাউ করে কেঁদে বলেন, আল্লাহ আমি টাকা পাব কই, কী দিয়া চিকিৎসা করামু ?

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।