লালমোহনে শিক্ষকের বেকার ছেলের ৬০ লাখ টাকা দেনমোহরের বিয়ে নিয়ে তোলপাড় !

লালমোহন প্রতিনিধি ॥ ভোলার লালমোহনে ৬০ লাখ টাকা দেনমোহরে শিক্ষকের বেকার ছেলের বিয়ে নিয়ে তোলপাড় চলছে। বুধবার রাতে বিয়ের কাবিননামার কপি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন ওই শিক্ষক। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেটি। শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ বিয়েকে কেন্দ্র করে এখন লালমোহনে চলছে তোলপাড়।
জানা যায়, লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের ছেলে আহসান হাবিব রায়হানের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের ওই কাবিনে কনের বয়স ১৮ বছর ৬মাস দেখালেও তার পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সনদ অনুযায়ী বয়স ১৬ বছর ৬মাস। এরআগে ছেলে-মেয়ে পালিয়ে গিয়ে গত ২মার্চ ১ লাখ টাকা দেনমোহরে পাবলিক নোটারীর মাধ্যমে নিজেরাই বিয়ে করে। পরে গত ৫জুলাই বর-কনের পরিবারের সমঝোতায় পূণরায় ৬০ লাখ টাকা দেনমোহরে কাবিন করা হয়। যেখানে দেনমোহরের ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ দেখানো হয়েছে।
নিজের ফেসবুক আইডিতে ৬০ লাখ টাকা দেনমোহরে কাবিনের কপি পোস্ট করার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক আবু তৈয়ব বলেন, আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। সেখান থেকে ভুয়া কাবিননামার কপি পোস্ট করা হয়েছে। ১ লাখ টাকা দেনমোহরেই আমার ছেলের বিয়ের কাবিন হয়েছে।
এ ব্যাপারে লালমোহন পৌরশহরের নিকাহ রেজিস্টার কাজী মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত ৫ জুলাই ৬০ লাখ টাকা দেনমোহরে আমার কাছে তৈয়ব মাস্টার তার ছেলের বিয়ের কাবিন করান। এ সময় দুই পক্ষেরই লোকজন উপস্থিত ছিল।


অন্যদিকে লালমোহন উপজেলা দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এতো টাকা দেনমোহরের বিয়েটি লালমোহনে চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি করেছে। ছেলের কোনো চাকরি নেই। তবুও এতো টাকা দেনমোহরে কিভাবে কাবিন করা হয়। যতটুকু জানি; বিয়ের দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় ছেলের আয়ের উপর নির্ভর করে। ওই ছেলের বাবা একজন শিক্ষক। অথচ এতো টাকা দেনমোহরের কাবিননামার ছবি আবার নিজের ফেসবুকে তিনি পোস্টও করেছেন। একজন শিক্ষক হয়ে তিনি কত টাকা বেতন পান, কত কোটি টাকার মালিক তিনি ? আমরা বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানতে চাই।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।