সর্বশেষঃ

লালমোহনে ভ্যাপসা গরমে তাল শাঁসের চাহিদা বেড়েছে

জাহিদ দুলাল, লালমোহন প্রতিনিধি: চলছে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম। ভোলার লালমোহনে প্রচন্ড গরমে তাল শাঁসের চাহিদা বেড়েছে গ্রাহকদের কাছে। রক্তশূন্যতা দূরীকরণসহ কচি তালের শাঁসে রয়েছে বিভিন্ন উপকার। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীগণ বলেন তালের শাঁসে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সালফার, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো বেশ কিছু উপকারী উপাদান। যা আমাদের চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া চোখের এলার্জিসহ অন্যান্য রোগের প্রকোপ কমাতে তালের শাঁস অনেক উপকারী।
লালমোহন বাজারে ভ্যানে করে তাল বিক্রি করেন কাসেম হাওলাদার। সে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড হরিগঞ্জ এলাকার বাসিন্ধা। তিনি জানান বৈশাখ মাস থেকে জ্যৈষ্ঠের অর্ধেক সময় পর্যন্ত চলবে তালের শাঁস বিক্রি। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ শত তাল ভ্যানে ফেরী করে বিক্রি করেন। খরচ বাদ দিয়ে তিনি গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার টাকার মত লাভ করে থাকেন। গত কয়েক বছর যাবত তিনি তালের শাঁস বিক্রি করেন। প্রতি বছর তিনি তাল গাছের তাল ফলনের আগেই ক্রয় মালিকদের থেকে ক্রয় করেন। গাছ প্রতি ৫ থেকে ৮শ টাকা ক্রয় করেন তিনি। এ বছর তিনি ৩০টি গাছ ক্রয় করেছেন। প্রতিটি তাল বাজারে প্রকার ভেদে ১০ টাকা এবং ১৫ টাকা বিক্রি করে থাকেন। এত যা লাভ হয় তাতে তিনি সংসার নিয়ে ভালোভাবে চলতে পারেন। তাল বিক্রির পাশাপাশি তিনি কৃষি কাজও করেন।
কাসেম হাওলাদারসহ লালমোহন পৌরসহরের বিভিন্ন যায়গায় ভ্যানে এবং রাস্তার পাশে বসে তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরা,পথচারীসহ অন্যান্যরা প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে ভিড় করছেন তাল শাঁস বিক্রেতাদের কাছে। অনেক ক্রেতা পরিবারের সদস্যদের জন্য এক ছড়া হিসেবে তাল শাঁস কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।
তালের শাঁস ক্রয় করতে আসা ইকবাল, মামুন, শংকর, মলিন বলেন, এই গরমে তালের আঁটি অনেক সুস্বাদু। তালের আঁটি খেলে দীর্ঘক্ষণ পানির পিপাসা লাগে না। তাছাড়া অন্যান্য ফলে ফরমালিন দেয়ার সুযোগ থাকলেও তালে ফরমালিন মেশানোর কোন সুযোগ নেই। তাই তালের আঁটি আমাদের খুব প্রিয়। প্রচন্ড গরমের কারণে এবং একটু স্বস্তির জন্য তালের আঁটি/শাঁস খাচ্ছি। তারা শুধুমাত্র গরমের কারণে তালের শাঁস খাচ্ছেন তবে এর উপকারিতা সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।