সর্বশেষঃ

একটি মুদি দোকান নির্মাণ করে দেওয়ার আকুতি পঙ্গু মাসুদের

জাহিদ দুলাল, লালমোহন ॥ মো. মাসুদ (৪৫)। পিকআপের চাপায় কোমর থেকে নিচের অংশ মেরুদ-ের হাড় ভেঙে অকেজো হয়ে গেছে প্রায় ১৩ বছর আগে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু না হলেও তাকে বরণ করতে হয় পঙ্গুত্ব। দুর্ঘটনার পর থেকে তিন সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন শুরু কওে সে। বর্তমানে তার চলার একমাত্র সঙ্গী হুইল চেয়ার।
জানা যায়, ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম বাজার এলাকার জোনাব আলী হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা মো. মাসুদ। ২০১১ সালের ওই দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে হুইল চেয়ারকে সঙ্গী করে দিন পাড় করছেন তিনি। কাজ করার চেষ্টা করলেও কোমরের নিচের অংশ অকেজো হয়ে পড়ায় তাও পারছেন না মাসুদ। তাই বেঁচে থাকার তাগিদে বাধ্য হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয় অন্যের সহযোগিতার দিকে।
মাসুদের স্ত্রী সাহিদা বেগম জানান, আমার স্বামী চলাফেরা করতে পারেন না। তার চলাফেরায় এখন ভরসা হুইল চেয়ার। সেই হুইল চেয়ারটির অবস্থাও এখন বেহাল। স্বামী কোনো কাজ করতে না পারায় এখন সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। তার ওপর মাসুদের প্রত্যেক মাসে ৩ হাজার টাকার ওষুধ প্রয়োজন হয়। খেতেই হয় মানুষের সহযোগিতা নিয়ে। তার ওপর ওষুধের টাকা, এসব নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
মাসুদ বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে অনেক কষ্টে সংসার চালাচ্ছি। বড় মেয়েকে মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বিয়ে দিয়েছি। এর মধ্যে ছোট মেয়েকেও বিয়ে দিয়েছি। তবে টাকার জন্য তাকে স্বামীর বাড়িতে তুলে দিতে পারছি না। প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় কোনোভাবে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বেঁচে আছি। তবে এখন মেয়েকে কিভাবে তুলে দিবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
আকুতি নিয়ে মাসুদ বলেন, ভিক্ষা করতে চাই না, কর্ম করতে চাই। একটু ভালো করে বাঁচতে চাই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে। তাই সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ; আমাকে প্রয়োজনীয় মালামালসহ একটি মুদি দোকান নির্মাণ করে দেওয়ার। এছাড়া নতুন একটি হুইল চেয়ার দিলে আল্লাহর রহমতে বাকি দিনগুলো হয়তো একটু ভালোভাবে কাটাতে পারবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।