সর্বশেষঃ

দক্ষিণাঞ্চলগামী তাসরিফ লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত ॥ স্যোশাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোন ধরনের কারণ ছাড়াই দক্ষিণাঞ্চলগামী তাসরিফ লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। কেননা দক্ষিণাঞ্চলগামী নৌ-পথে চলাচলের যাত্রী সেবায় নিয়োজিত অন্যতম আরামদায়ক মাধ্যম হচ্ছে ফেয়ারী সিপিং লাইন্স লিমিটেডের পরিচালনাধীন জাহাজ এম ভি তাসরিফ সিরিজ। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে কালীগঞ্জ, ভোলা, দৌলতখান, হাকিমুদ্দিন, মঙ্গলসিকদার, মনপুরা, চরফ্যাশন ও হাতিয়া নৌ- পথে অত্যান্ত শুনামের সহিত যাত্রী সেবা দিয়ে আসলেও হঠাৎ কোন কারণ ছাড়াই বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ সকল লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত ঘোষণা করেছে। গত ১৬ /০৩/০২৩ ইং তারিখ মোঃ আবু ছালেহ কাইয়ুমেট (উপ-পরিচালক) স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে লঞ্চ স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।
তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ চিঠির কাইয়ুময়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপরের নির্দেশে এই চিঠি জারি করা হয়েছে। আমি এর বাইরে আর কিছুই বলতে পারবোনা বলে এই বিভাগের পরিচালক অথবা চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি। তবে নিয়ম তান্ত্রিকভাবে নৌ- রুটে চলাচলকারী যাত্রী সেবায় নিয়োজিত লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কোন আদেশ অমান্য করলে সে ক্ষেত্রে তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার বিধান থাকলেও কোন ধরনের কারন দর্শানোর নোটিশ না দিয়েই লঞ্চ চলাচল স্থগিত করার বিষয়টি দুঃখ ও হতাশা জনক বলে দাবি করছেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। অথচ কয়েক মাস পূর্বেও গোলাম কিবরিয়া টিপু কোম্পানির ফারহান-৫ বেপরোয়া গতিতে উলানিয়া এবং তজুমদ্দিন এলাকায় তাসরিফ-২ কে ধাক্কা দিয়ে জাহাজের ব্যাপক ক্ষতি সাধন ও বহু যাত্রীকে আহত করেছে। এইভাবে একাধিক বার গোলাম কিবরিয়া টিপু কোম্পানির লঞ্চগুলো বেপরোয়া গতিতে তাসরিফ সিরিজের একে একে সকল লঞ্চগুলোকে ধাক্কা দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে আসলেও বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের নিকট তাসরিফ কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি।
শুধু তাই নয়, যে অভিযোগ কর্তৃপক্ষ দেখিয়েছেন, তার আলোকে তাসরিফ কর্তৃপক্ষকে কোন চিঠি বা কারন দর্শানোর নোটিশও করা হয়নি। যা বিআইডব্লিউটিএর (২) এর উপবিধি (১) উল্লেখ স্পষ্ট উল্লেখ আছে। এমনকি বরিশাল গামী এম ভি সুন্দরবন ১৬ লঞ্চকে তাসরিফ লঞ্চ ধাক্কা দিয়েছে বলে আনি তো এ ধরনের অভিযোগ সুন্দরবন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ পুরোপুরিই অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, বিআইডব্লিউটিএ তাদেরকে বার বার ফোন দিয়ে বলেছে তারা যেন তাসরিফ লঞ্চের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ দেয়।
বিষয়টি নিয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে বলেন, সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ভোলা-৩ এর সংসদ সদস্য নূরনবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-২ এর সদস্য আলী আজম মুকুল, এমপি পংকজ দেবনাথ আরো অনেকেই তৎকালীন সময়ে এই জাহাজগুলোর রুটপার্মিটের জন্য সুপারিশ এবং ডিও লেটার দিয়েছেন। কিন্তু বরিশালের এক লঞ্চ মালিকের মনোপলি ব্যাবসা করার সুযোগ দিতেই অন্যায় আবদারের বলি হল তাসরিফ লঞ্চগুলো।
ভোলা তথা উপকূলের বিশ লক্ষ লোকের প্রাণের দাবী জরুরি ভিত্তিতে যাত্রী সেবায় নিয়োজিত তাসরিফ সিরিজের সকল লঞ্চ গুলোকে পূর্বের টাইম টেবিলে ফেরত দিয়ে যথারীতি জারটি পরিবহনের সুযোগ দেয়া হোক। তা না হলে বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে বলাবাসী মানববন্ধন সহ এর চেয়ে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।