মধ্যরাত : পর্ব-১২৬

ড. তাইবুন নাহার রশীদ (কবিরত্ন),

(গত পর্বের পর) : ওরা আসতে আমি অকুল সমুদ্রের মধ্যে থেকে কূলে এসে ভিড়লাম। এখনও জ্বর, খুবই জ্বর। তবুও সুশান্ত বলছে প্রশান্ত তুই মন খারাপ করিসনা। ঔষধ খা, ভাল হয়ে যাবি। আমি এক মাসের ছুটি নিয়েছি, সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত আমি উমা তোর কাছে থাকব। ডোরাকে ডাকব ? আমাকে বল, সত্য করে বল। আমি বললাম, ও আসতে চেয়েছে। আমি বলেছি, না আসার প্রয়োজন নাই। ফোন করে খোঁজ নিলেই খুশী হব। আমি বললাম, কেন না করেছি জানিস ? দোলা কি ভাববে ? আমাকে ডেকেছিস কেন ? সুশান্ত বলল, আমি বললাম, তুই আমার বন্ধু সেজন্য ডেকেছি।
সুশান্ত বলল, ডোরা ? সে আমার বান্ধবী। সুশান্ত বলল, তাকে ডাকলে কি দোষ হবে ? সে মেয়ে মানুষ, নানা জনে নানান কথা বলতে পারে। দোলা কি ভাববে। এসব ভেবে আমি তাকে বলছি, ফোন করে খোঁজ নিতে, আমি বললাম। সুশান্ত বলল, আমি তাকে আসতে বলি ? এখন তুই আসছিস, তা তুই বলতে পারিস। সুশান্ত বলল, দেখি মিস আবার হয়ত রাগ করেই বসে আছে। জানিস প্রশান্ত যেখানে বেশী ভালবাসা সেখানে আবার বেশী অভিমান। ভার্জিনিয়া থেকে ডোরা নিজেই ফোন করল। হ্যালো সুশান্ত বলছি ওঃ সুশান্ত বাবু এসে গেছেন ? ধন্যবাদ, আমি আসেত চেয়েছিলাম, প্রশান্ত আমাকে না করল। যাক ও সুস্থ্য হয়ে উঠুক, ভগবান ওর মঙ্গল করুক, এটাই আমার কাম্য। এখন কেমন আছে ? প্রশান্ত বলল, এখন খুব জ্বর উমা দেছছে। আমি দেখছি। দোলা কাছে থেকে যন্ত করছে। ডোরা ফোন ছাড়াতে ছাড়ার আগে আমাকে ফোন দিতে বলল। সুশান্ত বলল, প্রশান্ত ডোরা তোর সাথে কথা বলতে চায়।
আচ্ছা ফোন দে। আমি শুয়ে শুয়ে রিসিভার হতে নিলাম। হ্যালো প্রশান্ত কেমন আছ ? ভাল না। জ্বর চলছে। শোন এখন প্রশান্ত বাবু, উমা বৌদি এল। আমার আর দরকার নেই। তুমি ওদের ডেকে নিয়ে এলে, আর আমি আসেত চাইলাম না করে দিলে। তুমি সারা জীবনই এরকমই করলে, কাছে আসতে চাইলে দূরে ঠেলে রাখ। রাখি কেমন, শোন সুস্থ্য হয়ে আমার কাছে এসে বিশ্রাম করবে। সুশান্ত বলল কিরে ? কি বলল ডোরা ? বললাম ঠিক বলেছিস রাগ করেছে। তবু বলল, ভাল হলে আমার এখানে এসে বিশ্রাম কর। সুশান্ত বলল, প্রশান্ত তোর এখন অসুখ কিছু বললামনা। সত্যি তোকে ডোরা ভালবাসে। সে ভালবাসায় এখন প্রগলভতা নেই। তবে খাটি সে ভালাবাসা। তুই তাকে বুঝতে পরিসনি। মার্জিত, রুচিশীল সে ভালবাসা।

(চলবে———)

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।