চরফ্যাশনে দুইটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলায় দুইটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ইটভাটাগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নে ভোলা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আরাফাত হুসাইন এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত এ অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আরাফাত হুসাইন জানান, সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধভাবে সনাতন পদ্ধতির ড্রাম চিমনীর ইটভাটায় কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরী করার অপরাধে মেসার্স যমুনা ব্রিকস ও মেসার্স সততা ব্রিকস নামের দুইটি ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ইটভাটাগুলের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ওই দুটি অবৈধ ইট ভাটার সকল কাচাঁ ইট ধ্বংস করা হয়েছে। ইটভাটা দুইটি পরিচালনা করবেন না মর্মে মালিকের কাছ থেকে মুচলেকাও নেয়া হয়েছে। এর আগেও প্রশাসন কয়েকটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও প্রভাবশালী ইটভাটার মালিক অবৈধভাবে গড়ে তুলছেন ইটভাটা।
অভিযোগ রয়েছে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় ভোলায় এক শ্রেণির অধিক মুনাফালোভী ব্যবসায়ী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র বিশেষ করে লোকালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকা ও ফসলি জমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে তুলছে ইট ভাটা। এসব ইট ভাটায় নেই কোন সরকারি অনুমোদন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ইট ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, গ্যাস ও ধুলায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে। হারিয়ে যাচ্ছে জীব-বৈচিত্র্য, বিনষ্ট হচ্ছে আমাদের চির চেনা প্রকৃতি ও পরিবেশ। সরকারের আইন অমান্য করে ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় বহু ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়াচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তোতা মিয়া বলেন, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে। সরকারের আইন অমান্য করে ইটভাটায় কাঠ পোড়ালে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।