সর্বশেষঃ

চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটি শুরুতে সহজ করে শেষদিকে গিয়ে কষ্টে জিতলো ইংল্যান্ড। আর এই জয়ে আয়োজক অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে দর্শক বানিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শনিবার আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে শ্রীলঙ্কার করা ১৪১ রান ইংল্যান্ড শেষ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলে ইংলিশরা। তাতে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালও নিশ্চিত হয় তাদের।
এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো ইংলিশরা। এর আগে ২০১০, ২০১৬ ও ২০২১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল তারা। তার মধ্যে ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। আর ২০১৬ সালে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাদের।
রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা হয়েছিল একদম ঝড়ো। জস বাটলার ও আলেক্স হেলস ৭.১ ওভারেই তুলে ফেলেন ৭৫ রান। কিন্তু ৭৫ থেকে ৮২ রানের মধ্যে বাটলার ও হেলস যথাক্রমে ২৮ ও ৪৭ রান করে আউট হওয়ার পর ধুকতে থাকে ইংল্যান্ড। তাতে শেষ দুই ওভারে লড়াইটা বেশ জমে ওঠে। জিততে ১২ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। হাতে ছিল ৪ উইকেট। তবে ওয়ান ডাউনে মাঠে নামা অভিজ্ঞ বেন স্টোকস ঠা-া মাথায় খেলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। স্টোকস ৩৬ বলে ২ চারে অপরাজিত ৪২ রান করেন। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। বল হাতে শ্রীলঙ্কার লাহিরু কুমারা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ২টি করে উইকেট নেন। বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ।
তার আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো হয়েছিল শ্রীলঙ্কার। পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিস উড়ন্ত সূচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কানরা। আসা-যাওয়ার মিছিলে তিনজন ব্যাটসম্যান রান করতে পারেন দুই অঙ্কের ঘরে। তার মধ্যে নিসাঙ্কা ৪৫ বলে ২ চার ৫ ছক্কায় করেন সর্বোচ্চ ৬৭ রান। ভানুকা রাজাপাকসে ৩ চারে ২২ বলে করেন ২২ রান। আর কুশাল মেন্ডিস ১ চার ও ১ ছক্কায় করেন ১৮ রান। বল হাতে ইংল্যান্ডের পেসার মার্ক উড ৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস, স্যাম কারান ও আদিল রশিদ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।