সর্বশেষঃ

কাদের খানকে ভোলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তরের সহ-সভাপতি ও টাইলস ব্যবাসায়ী কাদের খানের মিথ্যা ভিত্তিহীন অসত্য বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভোলা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ অহিদুর রহমান। ভোলা সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় অহিদুর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, কাদের খান তৎকালীন বাকশালের ভোলা জেলার সেক্রেটারি জেনারেল শামসুদ্দিন আহমেদ এবং ভোলার অভিভাবক, জীবন্ত কিংবদন্তী, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব, ৬৯ এর মহানায়ক, সাবেক সফল মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
অহিদুর রহমান বলেন, কারণ ওই রাতে শামসুদ্দিন মিয়া তোফায়েল আহমেদের বাড়িতে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার খবর পেয়ে তোফায়েল আহমেদ তখন ছটফট করতে থাকেন। তোফায়েল আহমেদকে গ্রেফতারের পূর্ব পর্যন্ত তারা সকলে নজরবন্দি ছিলেন। তখন বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারছিলেন না।
অহিদুর রহমান আরও বলেন, কাদের খান ১৯৭৪-৭৫ সালে ভোলা কলেজের ছাত্র ছিলেন এবং ভিপি পদে নির্বাচন করেছেন। ব্যবসায়ী ইউসুফ জিএস পদে নির্বাচন করেন। অথচ ওই দিন ১৫ আগস্টের শোকগাথা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে কাদের খান অসত্য ও মিথ্যাচার বক্তব্য দিলেন। তিনি কখনোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন নি। ঢাকার ছাত্ররাজনীতিতে তার কোন প্রকার সম্পৃক্ততাও ছিলো না। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাজ বিতরনের বিষয়টিও ছিলো তার বানানো গল্প।
তিনি আদৌ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন না তার উদাহরন হচ্ছে ওই সময় যারা তার সঙ্গে ভোলা কলেজে পড়তেন। এরা হচ্ছে বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাষক ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু (৭৩-৭৪ ভিপি ছিলেন), কাদের প্যানেলের জিএস বর্তমান জেলা আ’লীগের সদস্য ঢাকার ব্যবসায়ী ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসস সাংবাদিক মাহাবুবুর আলম নীরব মোল্লা (কাদের, ইউসুফ প্যানেলের সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন) কাদের খানের সমবয়সী ছিলেন ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন।
তিনি আরো বলেন, কাদের খানের বাড়ি ভোলার বাংলাবাজারের দক্ষিণ দিঘলদীতে। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ঢাকায় গিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে অসুস্থ হলে তার চিকিৎসা করার জন্য আমাদের প্রিয় নেতা তোফায়েল তখন কাদের খানকে ৭০ লাখ টাকা দেন এবং তাকে দেখতে তখন সিঙ্গাপুর গেছিলেন আমাদের এই প্রিয় নেতা।
এদিকে হঠাৎ করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রসঙ্গে টেনে এনে তা মিথ্যাচার করে বক্তব্যে রাখার খবর শুনে ভোলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ আমরা হতবাক হই। তার এমন বক্তব্যে ক্ষোভ জানায় জেলার সকল পেশার মানুষ। দলের সভানেত্রী সুদৃষ্টি পেতে কাদের খানের এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের অবস্থানের জাহির করেন বলেও আমরা মনে করছি।
তার এ ধরনের মিথ্যাচারের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি এবং সাথে তার অসত্য বক্তব্যর বিচার দাবি করছি এবং কাদের খানকে আমরা সর্বস্থরের মানুষ মিথ্যাচারের জন্য ভোলায় অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেছি। প্রতিবাদ সভায় বক্তরা তাদের বক্তব্য আরো বলেন, সঠিক তথ্য তুলে ধরে প্রকৃত তথ্য নিয়ে সঠিক সংবাদ প্রকাশিত হোক।ইতিহাস বিকৃতকারী কাদের খান সহ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, শামসুল আলম, বাংলারকণ্ঠ সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাগণ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।