সর্বশেষঃ

ক্রিকেট ইতিহাসে যে রেকর্ড কেউ করতে পারেনি সে রেকর্ড করে দেখাল বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে একপ্রকার বাঘের গর্জন দিয়েছে বাংলাদেশ দলের স্পিনারা। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ।

গায়ানায় টসে জিতে প্রথমে বোলিং করা সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বোলিংয়ে শুরু থেকেই স্পিনারদের নিয়ে আসেন তিনি।

প্রথমে কয়েকটি আউট মিস করলেও এরপরে বল হাতে জ্বলে ওঠে মোসাদ্দেক হোসেন, নাসুম আহমেদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। নাসুম আহমেদের ১৯ রানে তিন উইকেট এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ২৮ রানে ৪ উইকেটে ৩৫ ওভারে ১০৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ঘরের মাঠে এর আগে ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটি ছিল ৯৮ রানের। ২০১৩ সালে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই রান করেছিল ক্যারিবীয়রা।

গায়ানার সেই একই মাঠে এবার টাইগার বোলারদের তপে ১২৮ রানের অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা তাদের দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন দ্বিতীয় দলীয় স্কোর।

পরের উইকেটে খেলতে নামা শামারাহ ব্রকসকে মাত্র ৫ রানে সাজঘরে ফেরান নাসুম আহমেদ। এরপর নাসুম-মিরাজদের ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল।

বাংলাদেশের বোলাররা ক্যারিবিয়ান ব্যাটারদের এমনটাই চাপে রাখে যে কিমো পাওয়েল ছাড়া কেউই ব্যক্তিগত রানের খাতাটা বিশের ঘরে নিয়ে যেতে পারেননি।

১৮ রানে সাই হোপ, ১১ রানে ব্রেন্ডন কিং, শূন্যরানে অধিনায়ক নিকোলাস পুরান, ১৩ রানে রোভম্যান পাওয়েল, ২ রানে আকেল হোসেন, ৪ রানে রোমারিও শেফার্ড ও শূন্যরানে আউট হন আলযারি জোসেফ।

শেষ উইকেটে গুদাকেস মোতিকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরটা একশর ঘর পার করেন কিমো পাওয়েল। কিন্তু মোতিও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি।

তাকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান মেহেদি মিরাজ। আউট হওয়ার আগে ৬ রান করেন মোতি। এদিকে সর্বোচ্চ ২৫ রানে অপরাজিতই থাকেন কিমো পাওয়েল।

বাংলাদেশের পক্ষে ৮ ওভারে মাত্র ২৯ রানের খরচায় সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ১০ ওভারে মাত্র ১৯ রানের খরচায় তিনটি উইকেট পেয়েছেন নাসুম আহমেদ। এছাড়া শরিফুল ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।