(পরীক্ষায় অসুদুপায় অবলম্বন করার অপরাধে বহিস্কৃত এবং দন্ডপ্রাপ্তরা)

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসুদুপায় অবলম্বন করায় ভোলায় ২ জন বহিষ্কার, ৩ জনের কারাদন্ড

কঠোর নিরাপত্তায় শেষ হলো তৃতীয় ধাপে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। ভোলায় ২৪৪টি শূন্য পদের বিপরীতে ১৫ হাজারের উপরে পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার ২৫টি কেন্দ্র এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের অন্যান্য জেলার মত ভোলাতেও শুক্রবার (৩ জুন) এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অসুদুপায় অবলম্বন করার অপরাধে ভোলায় ২ জন বহিস্কার ও ৩জন পরীক্ষার্থীকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলার সাত উপজেলায় ৪৫২টি শূন্য পদ থাকলেও এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাওয়া ২০৮টি শূন্য পদে নিয়োগ পরে হওয়ার কথা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে তৃতীয় ধাপে ২৪৪টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেই প্রতিবার মাঠ পর্যায়ে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে সক্রিয় হয়ে উঠে প্রতারক চক্র। শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা দেয়াসহ প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা বলে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এসব প্রতারক চক্র। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এ চক্রের সদস্যরা নানা কৌশলে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। সেই প্রতারণা বন্ধে এবার কঠোর অবস্থানে ছিলো ভোলার প্রশাসন এবং অনিয়মের অভিযোগে ২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং ৩ জন কে ১০ দিনের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।


পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগে কারাদ- এবং বহিষ্কৃতরা হলেন পশ্চিম বাপ্তা আর্দশ স্কুল এন্ড কলেজের পরীক্ষার্থী লালমোহন উপজেলার ধলিনৌরনগর এলাকার মোঃ উল্লাহর ছেলে ওমর ফারুক, তজুমুদ্দিন উপজেলার নাজমুল এর ছেলে হাবিবুর রহমান, শম্ভুপুর এলাকার মজিব উদ্দিন পাটোয়ারীর ছেলে সোহাগ, ভোলা সরকারী কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী দৌলতখানের সৈয়দপুর এলাকার আবু তাহের এর মেয়ে আকলিমা ও ঘুইংগার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ভোলা গাজীপুর রোডের বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ হাসান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার জানান, ভোলায় ২৫টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো কড়া নিরাপত্তার আওতায় ছিলো। পরীক্ষা কেন্দ্রের শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিলো। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে ৩২ জেলায় এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জেলার সব এবং ১৪টি জেলার আংশিক উপজেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।