লালমোহনে এক স্কুল প্রধান শিক্ষককে পদ থেকে অব্যহতি

ভোলার লালমোহনের রমাগঞ্জ পূর্ব চরউমেদ ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: শাহাবুদ্দিন কে বিভিন্ন অনিয়মও বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত ও স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি থেকে প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
অব্যহতি পত্র ও সরেজমিন সূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ পূর্ব চরউমেদ ১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন মো: শাহাবুদ্দিন। ওই সময় তিনি বিনানুমতিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত, উন্নয়নমূলক কাজের সরকারী ভাবে বরাদ্দ কৃত অর্থ আত্মসাত ও বিদ্যালয় এলাকার দালাল বাড়ীর মঞ্জুর স্ত্রী পারুল বেগমের কাছ থেকে সুদের উপর ৪ লক্ষ টাকা স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেকের মাধ্যমে এবং হাফিজ উদ্দিন বাজার এলাকার দাইমুদ্দিনের ছেলে মো: ইলিয়াছের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে নিলেও দীর্ঘ চার বছর অতিবাহিত হলেও তাদের সুদ কিংবা লাভ কিছুই দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা। তারা বলেন, শিক্ষক শাহাবুদ্দিন আমাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর থেকে কোন লাভ দিচ্ছেনা বরং উল্টো খারাপ আচরণ করতাছে।
বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ লেনদেন করার অভিযোগে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: আক্তার হোসেন নান্নু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অফিযোগ দেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আক্তারুজ্জামান মিলন তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে ২৬ মে স্মারক নং- উশিঅ/লাল- ৪২৮ মোতাবেক অব্যহতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারক লিপি প্রেরণ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো: শাহাবুদ্দিন সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: আক্তার হোসেন নান্নু বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: শাহাবুদ্দিনের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে শিক্ষা অফিসে দরখাস্ত দিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আক্তারুজ্জামান মিলন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতির আবেদনের ভিত্তিতে ওই শিক্ষক কে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হলো। তবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমানিত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।